লকডাউনের জেরে বন্ধ সাধারণ পরিবহন ব্যবস্থা, সড়কপথে রয়েছে কড়া পাহারা, বন্ধ রয়েছে অনেক জায়গায় বাজারও। কিন্তু এই পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে যাতে কৃষকদের কোন ক্ষতি না হয়, তার আশ্বাস দিয়েছিলেন সরকার। তাই কৃষকদের জন্য প্রচলন করা হল এক বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন- ‘অন্নদাত্রী’। বিশেষ এই অ্যাপের মাধ্যমে আগামী ১ ই মে থেকে চাষীদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু করতে চলেছে খাদ্য দপ্তর। পূর্বেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চাষীদের কাছ থেকে ধান সরাসরি কেনা হবে। নভেলকরোনা সংক্রমণের জেরে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে এসে ধান বিক্রয় করতে চাষীদের অসুবিধা হচ্ছে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।
রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র থেকে আগেও জানানো হয়েছিল যে, কৃষকদের সকল ধরণের সাহায্য করা হবে। তাই এই পরিস্থিতিতে কৃষকরা যাতে ঘরে বসে টাকা পান তার জন্যে সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি রেশন দোকান এবং মিড ডে মিল প্রকল্প, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও সাধারণ ত্রাণ খাতে চালের চাহিদা মেটাতে সরকারি উদ্যোগে আরও ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে।
পয়লা মে থেকে যাতে এই অ্যাপের মাধ্যমে সংগ্রহ কার্য শুরু করা যায়, সরকার তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, কোন চাষী অ্যাপ বা ফোনের মাধ্যমে যদি ধান বিক্রি করতে চান, তবে যাতে ওইদিন ই তা সংগ্রহ করা যায়, এ বিষয়েও সরকার চেষ্টা করবেন। বিডিও অফিসের মাধ্যমে ওই ধান কেনা হবে।
বিডিও অফিসের এক আধিকারিক চেক সঙ্গে করে চাষীর কাছে পোঁছাবেন ধান ক্রয়ের জন্য। ক্রয়কার্যের পর চেকের মাধ্যমে চাষীকে তার প্রাপ্য টাকা দেওয়া হবে। ক্রয়কৃত ধান পরিবহনের জন্য যে গাড়ি থাকবে, তাতেই থাকবে ওজন পরিমাপের যন্ত্র। চাষীর থেকে ক্রয়কৃত ধান সরাসরি রাইস মিল (ধানকল)-এ চলে যাবে।
এই অন্নদাত্রী অ্যাপের মাধ্যমে যে চাষী চাল বিক্রয় করতে চাইবেন, তাকে তার মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করে নিজের নাম, গ্রাম ও ব্লকের নাম, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য পূরণ করতে হবে। ধান ক্রয়ের এই প্রক্রিয়ায় গ্রামের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)