পশ্চিম মহারাষ্ট্রের আখ চাষীরা তাঁদের ফসলের মূল্যপ্রাপ্তিতে দেরি হওয়ার কারণে প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন চিনি মিলগুলিতে আধিকারিকদের সামনে কয়েকদিন যাবত বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলো, কিন্তু তাঁদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে, তাই তাঁরা সম্মিলিত ভাবে ওই অঞ্চলের চিনি মিলগুলিতে আক্রমণ করেছে।
পুলিশের মতে এই অঞ্চলে মোট ৮ টি চিনি মিল রয়েছে সেগুলি পশ্চিম মহারাষ্ট্রের কোলাপুর, সাংলি, ও সাতারাতে অবস্থিত, কৃষকরা প্রায় সবকটি চিনি মিলে সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। চিনি মিলের কর্তৃপক্ষ থেকে যাদের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিলো তাতে কিছু বহিরাগত ব্যক্তির নামও উঠে এসেছে, যাদের এদিন বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। আই পি সি বিভিন্ন ধারাতে এদের নামে অযাচিত প্রবেশ এবং দাঙ্গা হাঙ্গামা করার বিষয়ে নাম নথিভভুক্ত করা হয়েছে।
স্বভিমানি সতকারী সংগঠন নামক একটি কৃষক সংগঠন এই কৃষকদের আক্রমণে প্ররোচিত করেছে বলে জানানো হয়েছে। এই কৃষক সংগঠনের দাবী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কৃষকদের প্রাপ্ত অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হোক। ‘ আমরা এই ধরণের বিক্ষোভ আরও সংগঠিত করবো যতদিন না চিনি কলের কর্তৃপক্ষ কৃষকদের পাওনা মিটিয়ে দিচ্ছে” এই অঞ্চলের সাংসদ রাজু শেট্টি এবং স্বভূমি সংগঠনের একজন সদস্য একথা সাংবাদিকদের বলেছেন।
সংগঠনের মুখপাত্র শ্রী যোগেশ পান্ডা জানিয়েছেন রাজ্য চিনি কমিশনারের তথ্য অনুযায়ী চিনি কলের কর্তৃপক্ষ কৃষকদের প্রাপ্য ৪৫০০ কোটি টাকা এখোনো পর্যন্ত মেটায় নি।
আরও পড়ুন খিচড়ী থেকে তিলকুট পর্যন্ত, কিভাবে মকর সংক্রান্তি ভারত জুড়ে উদযাপন করা হয়
সুগার কমিশনারের রিপোর্ট অনুসারে রাজ্যের ১৮৮ টি চিনি কল কৃষকদের প্রাপ্য ৪৫০০ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। সুগার কন্ট্রোল অ্যাক্ট অনুসারে চিনিকলগুলি কৃষকদের পাওনা একটা কিস্তিতেই মেটাতে বাধ্য, কিন্তু মহারাষ্ট্রের অধিকাংশ চিনি কল কৃষকদের কাছ থেকে আখ নিয়ে তার মাত্র আংশিক অর্থ প্রদান করেছে, আবার কেউ কেউ কোনো টাকাই দেয় নি। সুগার মিল গুলি এর কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে তাঁদের অতি মজুত, মূল্যহ্রাস, ও আর্থিক ক্ষতি ইত্যাদি।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)