নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কোলকাতার বায়ু দূষণের মাত্রা দেশের অন্যান্য শহরগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। দেওয়ালি, কালিপুজো ও পরে ছট পুজোর সময় থেকে শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা ৩০০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটারের বেশী ছিল যা বর্তমানে দিল্লি শহরের দূষণের মাত্রার থেকে প্রায় ১০০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘন মিটার বেশী। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই তথ্য রীতিমত আতঙ্কের। এই কারণে শহরের বেশীরভাগ মানুষ অ্যালার্জি, কাশি, স্বাসকষ্ট ও অ্যাসমায় ভুগছেন। বাড়ির বাইরে বেরোলে কষ্ট আরো বাড়ে।
জাতীয় পরিবেশ আদালত (National Green Tribunal) কোলকাতা ও হাওড়ার দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ রাজ্যের কাছে ৫ কোটি টাকার জরিমানা করেছে। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে ঐ টাকা জমা না দিলে আরো ১ কোটি টাকার জরিমানা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। শুধু তাই নয় আগামী ২০১৯ এর ৮ জানুয়ারীর মধ্যে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার হলফনামা জমা দিতে হবে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে যে সমস্ত পদক্ষেপ আমাদের রাজ্য সরকারকে নিতে হবে কিন্তু এখনও নেওয়া হয়নি সেগুলি হল –
- ১৫ বছর বা তার বেশী পুরানো গাড়ি বাতিল করা,
- সবুজ জ্বালানী যেমন CNG ব্যবহার বাড়ানো,
- PUC / পলিউশন আন্ডার কন্ট্রোল সর্টিফিকেট না দেখালে গাড়িতে তেল ভরতে না দেওয়া,
- রিমোট সেন্সিং ড্রোনের সাহায্যে দূষণ ছড়াচ্ছে এমন যানবাহন সনাক্তকরণ, ইত্যাদি।
অতি মাত্রায় দূষণের জন্য গত বছর দিল্লি সরকার অনেকগুলি পদক্ষেপ নিয়েছিল যেমন অড বা ইভেন রেজিসট্রেশন নাম্বারের গাড়ির রাস্তায় চলার দিন ঠিক করে দেওয়া, CNG বাস চালু করা, পুরানো গাড়ি বাতিল করা, কিছুদিনের জন্য শিশুদের স্কুল বদ্ধ করে দেওয়া , জন সচেতনতা বাড়ানো ইত্যাদি। কিন্তু গত দু বছর ধরে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন পদক্ষেপই নেয়নি ।
- রুনা নাথ