একদিকে করোনা মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য, আর তারই মধ্যে এবার হাজির ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফান (Amphan). এই ঝড়ের কেন্দ্রস্থল ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ৭২০ কিলোমিটার দূরে৷
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার বিকেল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) উপকূলবর্তী এলাকায় ঘন্টায় ৪৫-৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া (Cyclone Amphan) বইতে শুরু করবে। ক্রমশ এই গতিবেগ বাড়তে থাকবে এবং বুধবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ বিভিন্ন জেলাগুলিতে ভারী থেকে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে৷
আমফানের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৯৫ কিমি, সুতরাং এর প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী বা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (NDRF) ১৭ টি দল মোতায়েন করেছে বাংলা এবং ওড়িশায়৷ প্রতিটি দলে রয়েছে ৪৫ জন৷
পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বৈঠক করে এ প্রসঙ্গে আলোচনা করেন, এবং তিনি জানান, দিনরাত এক করে কাজ করা হবে৷ প্রত্যেককে সাবধানে থাকার কথা বলেন এবং এর পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বারংবার সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ সমুদ্রের কাছে যেতে, বা মৎস্যজীবীদের এই কয়েকদিন মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয়েছে৷ রাজ্যকে বিপর্যয় মোকাবিলায় সবধরণের সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র৷
ইতিমধ্যেই, উপকূলবর্তী এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে৷ এর আগে গত বছর নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের (Cyclone Bulbul) তাণ্ডব দেখেছিল রাজ্য। সে সময়ও যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল৷ তবে তার কিছু প্রভাব পড়ে রাজ্যে৷ গত বছরই ফণী (Cyclone Fani) নামে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়ের আগমন ঘটেছিল, তবে তার প্রভাব বেশি পড়েছিল ওডিশায়৷ আর চলতি বছরে আমফানের প্রভাবে প্রবল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এবার আমফান মোকাবিলার ক্ষেত্রেও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে৷
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে ঝড়ের নামের যে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল, তাতে সর্বশেষ এই ঝড়ের নামকরণ করেছিল থাইল্যান্ড৷ ২০০৪ সাল থেকেই ঝড়ের এই নামকরণ তৈরিতে ভারতও যুক্ত হয়৷ এছাড়া যুক্ত হয় বাংলাদেশ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মায়ানমার সহ আরও কয়েকটি দেশও৷
বর্ষা চ্যাটার্জি