কৃষিজাগরন ডেস্কঃ কৃষক পরিবারের সন্তান। ছোট থেকেই মাঠে চাষের কাজ করা অভ্যাস। ছোটবেলার অভ্যাসই এখনও ছেড়ে বেরোতে পারেননি বাঁকুড়ার বিধায়ক। সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এখনও মাঠে নেমেই নিজের হাতে কৃষিকাজ করেন। তাঁর পরিবারের রোজগারের মূল ভিত্তিই চাষের কাজ।
সাতসকালেই বাঁকুড়ার সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী নেমে পড়লেন মাঠে। সোনামুখী ব্লকের পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতের করুমপুরের বাসিন্দা বিজেপির এই বিধায়ক। কৃষি পরিবারের সন্তান, তাই ছোট বেলা থেকেই বাবা-ঠাকুরদার হাত ধরে মাঠে কাজ করার অভ্যেস রয়েছে বলে জানান। বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই রাজনীতি ও বিধানসভার কাজে দিনের অধিকাংশ সময় কেটে যায়। তবুও বাড়িতে থাকলে সকালের অবসর সময়ে মাঠে ছুটে যান বিধায়ক দিবাকর ঘরামি।
আরও পড়ুনঃ গুলাম এখন সম্পূর্ন ‘আজাদ’
দুর্গাপুরে এক প্রশাসনিক বৈঠকে দলীয় বিধায়কদের জনসংযোগে নামার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ তৃণমূল বিধায়করা শুনেছেন কি না,তা জানা না গেলেও, কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা । আর এবার কোদাল হাতে মাঠে নেমে পড়লেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি।
দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে গিয়ে আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের বলেছিলেন, মাঠে নেমে চাষিদের সঙ্গে ধান বোনা ও ধান কাটার কথা। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজের জীবনের গল্প বলেন। তিনি বলেন, "মামাবাড়িতে গিয়ে আমি নিজে হাত ধান বুনেছি ও কেটেছি। অনেকের থেকে আমি সেই কাজ ভালো পারি।"
আরও পড়ুনঃ সাড়ে ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত জ্যাকলিনের,ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিই কি কাল হল?
তবে সকাল সকাল বিজেপি বিধায়কের এমন কর্মকাণ্ডকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে ওই বিজেপি বিধায়ক ট্রাক্টর চালাতে বাধ্য হয়েছেন। রাজ্যের কৃষকদের প্রতি বঞ্চনার কথা মানতে চায়নি তৃণমূল।