কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ জি-২০সম্মেলনের সূচনায় বিভেদ মুছে একতার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বামফ্রন্টের ৩৪ বছরের জমানা শেষ করে কী ভাবে এগিয়েছে বাংলা। জি২০ সম্মেলনে সে কথাই তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ”আপনাদের দেশ, আমাদের দেশ বলে আমি বিভেদ করি না। গোটা বিশ্বই আমার মাতৃভূমি। আপনারা যখন এখানে এসেছেন, তখন এই বাংলা আপনারও। এত বড় একটা সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে, এই মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য।”
বৈঠকের উদ্বোধনে রাজ্যের একাধিক ভালো দিকের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। কোন কোন দিক থেকে বাংলা এগিয়ে তার খতিয়ান পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলার জিডিপির হার বৃদ্ধি, রাজস্ব বৃদ্ধির কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোভিড কালের দু’বছরে সব দেশ খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। আমাদের রাজ্যও তার থেকে ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু আমাদের রাজ্যের জিডিপি বেড়েছে ৪ গুণ। এই সময়ে আমরা ১.২2 কোটি চাকরির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি।
মমতা বলেন, ‘‘গত বছর নভেম্বর মাসে আমাদের রাজ্যে আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৭৬টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। আবার আমাদের সরকার পরিচালিত বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে ৪৬টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল। বিশদে না হলেও এই বিষয়গুলি আপনাদের জানাতে চাই।’’
এবারের ১৮ তম জি-২০ সম্মেলন ভারতে আয়োজিত হচ্ছে, সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই পাকা হয়ে গিয়েছিল কলকাতাকেও বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি। বাংলার রাজধানী শহরে ২টি বৈঠক হওয়ার সূচিও স্থির ছিল। প্রথমটি সম্পূর্ন হয়েছে সোমবার।অনুষ্ঠানস্থল নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার থেকে শুরু করে গোটা শহরই সাজানো হয়েছিল অতিথিদের জন্য। সোমবার সেই নতুন সাজেই জি-২০ দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের মিড ডে মিলে ডাল-ভাত-তরকারির সঙ্গে থাকবে মুরগির মাংসও
নারীশিক্ষায় রাজ্য সরকারের উল্লেখযোগ্য প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ আগেই বিশ্ব মঞ্চে সম্মানিত হয়েছে। পেয়েছে আন্তর্জাতিক পুরস্কার। সে কথা উল্লেখ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া ঘরে ঘরে জনপরিষেবা পৌঁছে দিতে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প পেয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জনতার উন্নয়নই যে তাঁর সরকারের একমাত্র লক্ষ্য, জি-২০ সম্মেলনের অতিথিদের কাছে তা স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।