বক্স অফিসে এখন 'পুষ্পা'র রাজ। এই চলচ্চিত্রে বিভিন্ন সংলাপ এবং গানগুলি এখন চলচ্চিত্র তারকা, ক্রিকেটার, এবং নেট দুনিয়ায় বিভিন্ন ফ্যানেদের মুখে ঘুরছে। এবার এই সিনেমার গল্পের কিছু অংশ মিলে বাস্তবে একজনের জীবনে। পুষ্পা সিনেমাটি মূলত লাল চন্দন কাঠের পাচার নিয়ে তৈরি। এই পাচারের গল্প নিয়ে সিনেমা শুরু। এবার সেই একই দৃষ্টান্ত দেখা গেল রিয়েল লাইফে। একদম সিনেমার আদলে চন্দন কাঠের পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল এক পাচারকারী।
চোরাই লাল চন্দন কাঠ ভরা একটি ট্রাক নিয়ে কর্ণাটক-অন্ধ্র সীমান্ত পেরিয়ে মহারাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার ফাঁদ এঁটেছিলেন ইয়াসিন ইনাইতুল্লা। এমনকি তাঁর প্রথম ধাপে তিনি বাঁধা পেরিয়েও যান। প্রথমে তিনি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে কর্ণাটক অন্ধ্র সীমান্ত পেরিয়ে আসেন। কিন্তু আসল বিপত্তি ঘটে মহারাষ্ট্রে ঢোকার আগে। সেখানে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে তিনি অক্ষম হন। তবে পাচারের জন্য একদম ফিল্মি কায়দায় তিনি ব্যবস্থা করেছিলেন। সিনেমাতে দেখান হয় চরিত্রটি প্রথমে চন্দনের কাঠ ট্রাকে তোলেন এবং তারপর দুধের ক্যান চাপিয়ে তা আড়াল করে। বাস্তব কাহিনিতেও ওই ব্যক্তি লাল চন্দন কাঠ ট্রাকে তোলেন। তার উপরে ফল ও সবজির বাক্স চাপিয়ে দেন।
কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিতে তিনি অক্ষম হন। মহারাষ্ট্রে ঢোকার আগেই তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। মহারাষ্ট্র সীমান্ত পার করার পর সাংলি জেলার মেরাজ নগরের গান্ধী চকে, মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। সুত্রের খবর ওই ট্রাকে থাকা চন্দন কাঠের মূল্য ২.৪৫ কোটি টাকা। আপাতত পুলিশি হেফাজতে পাচারকারী ব্যক্তি।