ছোটো ছোটো পায়ে হেঁটে বা মা-ঠাকুমার কোলে চেপে একরিত্ত ছেলে মেয়েরা সকাল সকাল পৌঁছে যায় গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে (Anganwadi Centre)। এই কেন্দ্র থেকেই একরিত্তরা জীবনেরে প্রথম শিক্ষা পায় সঙ্গে মেলে খাদ্যও। যেখানে শিশুরা শিক্ষার প্রথমধাপ শুরু করে সেখান কার পরিস্থিতি ভয়াবহ এক কথায় শিউরে ওঠার মতো। সর্বদাই ভয়ের আশঙ্কা। হুগলি (Hooghly) জেলার খানাকুলের (Khanakul) অনন্তনগর গান্ধী আশ্রম সংলগ্ন ২৩৬ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র প্রতিদিন বাচ্চাদের শিক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু হয় খোলা আকাশের নিচে। নেই ঠিকমত জলের ব্যবস্থাও, রান্নাবান্না চলে ফাঁকা জায়গায়। এমত অবস্থায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র (ICDS Centre) বাচ্চাদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (Anganwadi Centre) শোচনীয় অবস্থার কথা জেনেও উদাসীন প্রশাসন।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে (Anganwadi Centre) হল একটি কেন্দ্রীয়ভাবে স্পনসরকৃত প্রকল্প যা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি দ্বারা বাস্তবায়িত হয় এবং গ্রামীণ শিশু এবং মাতৃত্বের যত্ন কেন্দ্র হিসাবে কাজ করে। 1975 সালে ভারত সরকার শিশুর ক্ষুধা ও অপুষ্টি মোকাবেলায় সমন্বিত শিশু উন্নয়ন পরিষেবা কর্মসূচির অংশ হিসেবে এটি শুরু করেছিল। কিন্তু এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিচালিত হচ্ছে সম্পূর্ণ উল্টো ভাবে। খোলা আকাশ ধুলো বালির মধ্যেই চলছে সবকিছু। এমনকি এই কেন্দ্রের নিজস্ব কোনো জলের ব্যবস্থা নেই। জলের জন্য অনেকটা পথ পারি দিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ Aam Aadmi Party : রাজ্যে ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটে বাংলায় এবার আম আদমি পার্টি
আশঙ্কা। হুগলি (Hooghly) জেলার খানাকুলের (Khanakul) অনন্তনগর গান্ধী আশ্রম সংলগ্ন এলাকার মানুষদের দাবী, পঠন পাঠনের জন্য মাথার ওপর ছাদ হোক। জলেরে ব্যবস্থা হোক। রান্নার করার জায়গার পরিবেশ ভালো হোক। ঠাণ্ডায় সকালে শিশুরা খোলা আকাশের নিচে বসে আসুস্থ হয়ে পড়ছে। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে কীভাবে শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে (Anganwadi Centre) পাঠাবো। মিডিয়া সুত্রে খবর, খানাকুল এক নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম হাজরা জানিয়েছেন, বাচ্চাদের সেন্টারে গিয়ে পুরো বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও খানাকুল এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ঝুমা বাগের কথায়, শিশুরা যাতে সুস্থ-স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশ পায়, তাঁর জন্য খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করা হবে।