ভারতীয়রা আইনগতভাবে অনলাইনে আর ঔষধ কিনতে পারবে না। ডিসেম্বরের ১২ তারিখ, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে অনলাইন ফার্মেসীগুলোকে সম্পূর্ণ নিষেধ করা হল এবং কেন্দ্রীয় সরকারকেও একই পন্থা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হল।
আদালতের আদেশটি একটি পিটিশনের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে যে আইনের কোনও নির্দেশ ছাড়া অনলাইনে ওষুধ ও প্রেসক্রিপশন ওষুধ বিক্রি অবৈধ ছিল। তাছাড়া এটি স্বাস্থ্যের পক্ষেও ঝুঁকিসম্পন্ন।
সাধারণ জিনিসপত্রের মত নয়, ওষুধগুলি অত্যন্ত শক্তিশালী হয় এবং এর অপব্যবহারের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে, কেবলমাত্র একজন ব্যক্তি এটি ব্যবহার করছে না বরং সম্পূর্ণ দেশবাসীর কাছে এটি পৌঁছে যাচ্ছে যেখানে কিছু ওষুধ আসক্তি-সৃষ্টিকারী এবং শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। অশিক্ষিত গ্রামীণ পটভূমি থেকে শুরু করে বিপুল সংখ্যক শিশু/নাবালকরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং অনলাইনে ঔষধগুলি অর্ডার করার সময় ভুল ঔষধেরও শিকার হতে পারে।
ভারতের ফার্মেসি আইনগুলি ড্রাগ ও কসমেটিক্স অ্যাক্ট, 1940, ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স রুল, 1945, এবং ফার্মেসি অ্যাক্ট, 1948 থেকে উদ্ভূত। এই আইনগুলি ভারতে অনলাইন ব্যবসার আবির্ভাবের পূর্বাবস্থায় তৈরী যার জন্য ব্যবসার উল্লেখ এই আইনি আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
আদেশ সত্ত্বেও, বেশিরভাগ ই-ফার্মেসি পোর্টাল বর্তমানে চলছে। "আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে আদালতের রায় সম্পর্কে জানতে পেরেছি এবং আমরা কোর্টের আদেশের একটি কপির অপেক্ষায় আছি," এক বিবৃতিতে কোয়ার্টজকে বলেন নেটমেড্স এর প্রতিষ্ঠাতা ও CEO প্রদীপ দাধা। মেডিলাইফ–এর প্রতিষ্ঠাতা ও CEO তুষার কুমার বলেন, "আমাদের এখনো অর্ডার কপি দেখা বাকি আছে। আমরা বৈধ লাইসেন্সের সাথে আইনতভাবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।"
এই নিষেধাজ্ঞা এমন এক সময়ে এসেছে যখন সরকার অনলাইন ফার্মেসির শিল্প নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্দেশিকার খসড়া জারি করেছে। গ্রেহাউন্ড রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা ও CEO সানচীত ভির গোগিয়া বলেন, "ব্যপারটা হল যে, সরকার যখন নির্দেশাবলীর খসড়া তৈরী করেছে তখন সম্পূর্ণভাবে এটাকে শেষ করার জন্য মুখিয়ে নেই। এই বর্ধনশীল শিল্পটির নিয়মিত ভাবেই নতুন বিবর্তন ঘটছে। তাদেরকেই তাড়ানো উচিত যারা নিয়ম মানছে না।"
- অভিষেক চক্রবর্তী(abhishek@krishijagran.com)