পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা
Updated on: 19 November, 2018 3:09 PM IST

হিমঘরে আলু রেখে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে বলে রাজ্য সরকারের কাছে ভর্তুকি দাবি করতে চাইছে আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন। গত বছর আলুর পরিবহণ খরচে কিছুটা ভর্তুকি দিয়েছিল সরকার। আলু ভিন রাজ্যে লরিতে পাঠালে কেজিতে ৫০ পয়সা ও বিদেশে জাহাজে পাঠালে এক টাকা করে ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল সরকার। এবার হিমঘরের ভাড়াতেও ভর্তুকি চাওয়া হচ্ছে। 

গত কয়েক মাস ধরে হিমঘর থেকে বের হওয়া আলু সাধারণ মানুষ বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন। কিন্তু আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবি, প্রতি ৫০ কেজি বস্তায় লোকসান হচ্ছে প্রায় দুশো টাকা। হিমঘরের ভাড়া সহ অন্যান্য খরচ মেটানোর পর স্থানীয় পাইকারি বাজারে এখন ১১-১২ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। 

গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে নতুন আলু ওঠার পর চাষিরা কেজিতে ৯-১০ টাকা দাম পেয়েছিলেন । হিমঘরের ভাড়া ও অন্যান্য খরচ মেটানোর পর ১৬ টাকা দাম পেলে কিছুটা অন্তত লাভ থাকত। কিন্তু এবার বেশিরভাগ সময় লাভ মেলেনি। এভাবে লোকসান হলে আগামী মরশুমে চাষিদের কাছ থেকে বেশি দামে আলু কেনা সম্ভব হবে না। এতে চাষিদের সমস্যা হতে পারে।

দাম বেশী হওয়ায় ভিন রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলুর চাহিদা কম। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসম এই রাজ্যগুলি মূলত উত্তরপ্রদেশ থেকে আলু নিচ্ছে সেখানকার আলুর দাম কম হওয়ার জন্য। এখন রাজ্যের হিমঘরগুলিতে প্রায় ১৪ লক্ষ টন আলু মজুত রয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের চাহিদা মিটিয়েও আলু উদ্বৃত্ত থেকে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ৩০ নভেম্বরের পর হিমঘরগুলি খুলে রাখারও দাবি করছে ব্যবসায়ী সংগঠন।

- রুনা নাথ

English Summary: Bangla news loss in potato business
Published on: 19 November 2018, 03:09 IST