কৃষকদের সম্বল বলতে ওই কয়েক বিঘা জমি। তাই সেই জমি রক্ষা করতেই হাতে অস্ত্র তুলতে বাধ্য হয়েছিল বাংলার নন্দীগ্রামের কৃষকরা। সালটা ছিল ২০০৭ আর তারিখ ১৪ই মার্চ। জমি রক্ষা করতে রক্ত ঝরেছিল নন্দীগ্রামে। বলি হয়েছিল ১৪টি নিরীহ প্রাণ। বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে মোড় ঘুরিয়েছিল বাম জমানার এই জমি রক্ষার আন্দোলন। এই ঘটনার পর থেকেই পালা বদলের ইতিহাস রচিত হয় রাজ্য–রাজনীতিতে।
২০০৮ সাল থেকে এই দিনটি নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। নন্দীগ্রাম দিবসের কথা মনে করে শহিদ স্মরণ করে বিশেষ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister Mamata Banerjee)। ট্যুইট করে লেখেন “ ১৪ মার্চ বাংলার ইতিহাসে একটি কালো দিন। আজ আমরা শহিদ দিবস পালন করে নন্দীগ্রামের অসহায় কৃষকদের ওপর নৃশংস অত্যাচারের কথা সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই। এটি নিরীহ গ্রামবাসীর উপর বর্বর হামলার একটি মর্মান্তিক অনুস্মারক যা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সহিংসতার শিকার হয়েছিল।“
আরও পড়ুনঃ কেন দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ করছে পাঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলি
এদিকে আজ নন্দীগ্রাম দিবস পালনে রাজ্যে দফায় দফায় চলছে রাজনৈতিক তরজা। এই দিনটি উপলক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি আলাদাভাবে গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় নানান অনুষ্ঠান করেছে। বিজেপির তরফ থেকে আজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আজ শাসকদলকে নিশানা করে বলেন, ‘সিপিএমকে সাফ করেছি, এবার পিসি-ভাইপোকে একেবারে গ্যারাজ করব।' এর অবশ্য কড়া জবাব দেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘'কে কাকে গ্যারাজ করবে সময় বলবে, ২০২৪ সালে উনি কোথায় থাকবেন, কোথায় গ্যারাজ হবেন সেটা দেখা যাবে।‘
আরও পড়ুনঃ আলুর বন্ড না পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ কৃষকদের