কৃষিজাগরন ডেস্কঃ জমিতে কঠোর পরিশ্রম করার পর কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পন্য বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যান।কিন্তু কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না।এ আর নতুন কি! কিন্তু হালে কর্ণাটকের ঘটনা সবাইকে চমকে দিয়েছে। ২০৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে কৃষক পেলেন মাত্র ৮ টাকা।
কর্নাটকের গদগ জেলার এক কৃষক পেঁয়াজের সঠিক দাম না পেয়ে ৪১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন। বেঙ্গালুরুর এক কৃষক মন্ডিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু বেঙ্গালুরুর মন্ডিতে ২০৫ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করে তিনি মাত্র ৮.৩৬ টাকা পেয়েছেন। এই ঘটনায় হতাশ হয়ে কৃষক পেঁয়াজ বিক্রির রশিদ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। যা এখন ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ যত্নের অভাবে মারা যাচ্ছে একের পর এক মূল্যবান গাছ
সুত্রের খবর, গদগ জেলার পাভাদেপ্পা হালিকেরি বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুর মন্ডিতে পেঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। তখন এখানকার পাইকাররা প্রতি কুইন্টাল ২০০ টাকা দামে পেঁয়াজ কিনেছিলেন। এর পরে, পাইকাররা কৃষকের নামে একটি রসিদ তৈরি করে, যাতে মালবাহী ফি ছিল ৩৭৭ টাকা এবং পেঁয়াজ উত্তোলনের ফি ছিল ২৪ টাকা। এসবের খরচ বাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত ঐ কৃষকের হাতে এসেছে মাত্র ৮ টাকা ৩৬ পয়সা। এর পরে, কৃষক কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় পেঁয়াজ বিক্রির রসিদই শেয়ার করেননি, অন্য কৃষকদেরও কর্ণাটকের মন্ডিগুলিতে পেঁয়াজ ফসল বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।
পাভাদেপ্পা হালিকেরি জানান, যে পুনে এবং মহারাষ্ট্রের কৃষকরাও তাদের পেঁয়াজ পণ্য বিক্রি করতে বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুর মন্ডিতে আসেন। এসব কৃষকের ফসল খুব ভালো হলে ভালো দাম পাওয়া গেলেও হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম এত কমে যাবে তা কেউ ভাবতে পারেনি। তিনি অন্যান্য কৃষকদের সতর্ক করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পেঁয়াজ বিক্রির রসিদ পোস্ট করে বলেন যে গদগ এবং উত্তর কর্ণাটকের কৃষকরা পেঁয়াজের সঠিক দাম পাচ্ছেন না। পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি নিজেই ২৫,০০০ টাকা খরচ করেছি।
আরও পড়ুনঃ চাষীদের স্বনির্ভর করতে রাজ্য সরকারের অভিনব উদ্যোগ
গদগ জেলাতেও অতিবৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে এবং পেঁয়াজের আকারও ছোট থাকায় কৃষকরা বাজারে সঠিক দাম পাননি। তার ওপর চাষাবাদ ও পরিবহন খরচ বাড়ছে, কিছুই আসছে না কৃষকের হাতে। কৃষকরা অতিসত্ত্বর পেঁয়াজের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য ঘোষণা করার দাবী জানিয়েছে । পরিস্থিতি এমন যে ডিসেম্বরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হতে পারে।