কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের পরিমাপের জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক করেছে এবার থেকে সারা ভারতের চাষীদের উপর একটি সমীক্ষা চালানোর জন্য যে তাঁদের আয় ও দেউলিয়া অর্থের পরিমাণ জানার জন্য, যেমনটা অন্যান্য বিষয়ের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। এই শস্যবর্ষের অর্থাৎ জুলাই মাস থেকে আগামী বৎসরের জুন মাস পর্যন্ত এই সমীক্ষার সময়সীমা লাগু করা হবে।
কৃষি অবস্থা ও ব্যবস্থা মন্ত্রকের মন্ত্রি শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত লোকসভায় একটি লিখিত উওরে বলেছেন যে “অবস্থা ও ব্যবস্থার মূল্যায়ন নিরীক্ষণ আগামী শস্যবর্ষে করা হবে তাও একবার দুবার নয় ৭৭ রাউন্ড নিরীক্ষন জাতীয় নমুনা নিরীক্ষক দল দ্বারা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন যে এই নিরীক্ষণ প্রদানের কাজই হলো একটি পূর্ণাংগ মূল্যায়ন যা থেকে জানা যাবে ভারতীয় কৃষকদের কৃষি ও পারিবারিক আয়, ব্যয়, ও অপরিশোধযোগ্য ঋণের পরিমাণ।
এটা বলে রাখা ভালো যে এই ধরণের সমীক্ষা শেষবার হয়েছিলো ২০১২-১৩ শস্যবর্ষে। এরপর পরবর্তী বৎসরগুলিতে আর এই ধরণের কোনো সমীক্ষা বা নিরীক্ষণ চালানো হয় নি।
মন্ত্রি আরও বলেছেন কৃষি পরিবারগুলির ২০১৪ থেকে ২০১৮ এর আয় ব্যয়ের হিসাব যেহেতু আয়ের তুলনামূলক বৃদ্ধির কোনো হিসাব ছিলো না তাই এই ধরণের সমীক্ষা চালানো তখন সম্ভব হয় নি।
শেখাওয়াত আরও বলেছেন যে মানুষের আয় ও প্রয়োজন ভিত্তিক আয়ের উপর ভিত্তি করে এই ধরণের সমীক্ষা চালানো হয়। এর সাথে আরও কয়েকটি বিষয়কে যুক্ত করা হয় সম্পদের পর্যাপ্ততা, মানুষের সহজলভ্যতা, বর্তমান বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য, সঙ্কটাপন্ন জমি, সরকারের উন্নয়নের অগ্রগণ্যতা ইত্যাদি।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে ভারতের সম্পদের ঘনত্ব, ও দেশের আয়তনের আনুপাতিক হিসাব এই সমীক্ষায় রাখা হবে। তাছাড়া এন এস এস ও সংস্থাটি পাঁচ বৎসর অন্তর অন্তর গৃহসম্পর্কীত আয় ব্যয়ের উপর, পরিবার পিছু সকারি ও বেকারি মানুষের অনুপাত ও মূল্যায়ন করবে।
শেখাওয়াত শেষে বলেছেন আগামী ২০২২ অর্থবর্ষের মধ্যে ভারতীয় কৃষকদের আয়ের মাত্রা দ্বিগুণ করাই হলো সরকারের মূল লক্ষ্য। তাই এন এস এস ও-এর রিপোর্টটি ৭০ তম নিরীক্ষনের পর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)