একদিকে চাষিদের প্রাকৃতিক চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে অন্যদিকে বিপজ্জনক কীটনাশকগুলিকে চিহ্নিত করে সেগুলি বন্ধের কাজ শুরু হয়েছে । সরকার ইতিমধ্যে দুটি কীটনাশক নিষিদ্ধ করেছে । মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, Streptomycin এবং Teracyclineনামে দুটি কীটনাশককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এগুলি টমেটো এবং আপেলকে কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা করতে ব্যবহৃত হয় । ভারতীয় কোম্পানি ২০২৪ সালের পর থেকে এই দুটি কীটনাশক বিক্রি করতে পারবে না । এই উভয় রাসায়নিকেরই ফসলের সংক্রমণ রোধ করার ক্ষমতা রয়েছে । তবে এই রাসায়নিক থেকে সাধারন ক্রেতার স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকার এর আগে ২৭ টি কীটনাশক নিষিদ্ধ করেছিল । এই কীটনাশকগুলির সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি ভলো করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এখন যদি সরকার এটিকে মানুষের জীবনের জন্য বিপজ্জনক মনে করে তবে তাদের নিষিদ্ধ করা হবে।
আরও পড়ুনঃ স্থানীয় কৃষকদের অভিনব উদ্যগ, এবার লখনউতে মিলবে বিদেশী শাক-সবজি
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ থেকে স্ট্রেপ্টোমাইসিন এবং টেরাসাইক্লিন নামক কীটনাশক আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ থাকবে । কোম্পানিকে এর পুরানো স্টক খালি করার জন্য সময় দেওয়া হবে । এই সংস্থা ৩১ জানুয়ারী, ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটি থেকে তৈরি পণ্য বিক্রি করতে পারবে । এটি ছত্রাকনাশক এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ নিয়ন্ত্রন করে ।
কেন্দ্রীয় কীটনাশক বোর্ড ২০২০ সালে এই দুটি রাসায়নিককে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছিল । বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন যে টমেটো এবং আপেলের মতো উচ্চ খরচের ফল এবং শাকসবজিতে এই কিটনাশকের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে ।
আরও পড়ুঃ Turkey farming process: জেনে নিন আধুনিকভাবে টার্কি পালন পদ্ধতি
সম্প্রতি, পাঞ্জাব সরকার বাসমতি ধান চাষে ব্যবহৃত ১২ টি কীটনাশক নিষিদ্ধ করেছিল । কারণ ফসলে কীটনাশকের পরিমাণ নির্ধারিত পরিমানের চেয়ে বেশি পাওয়া গিয়েছিল । আগামীতে বাসমতি চাষে কৃষকদের যাতে বড় ধরনের ক্ষতি না হয় সেজন্য কয়েকদিনের জন্য তাদের এই কীটনাশক নিষিদ্ধ করা হয় ।
Share your comments