সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। আনুষ্ঠানিক ভাবে দিন ঘোষণা না হলেও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য গুলিতে ইতিমধ্যেই ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ছক কষে নিয়েই রাজনৈতিক রেষারেষির মাঠে নামতে চলেছে শাসক ও বিরোধীদল গুলি। আসন্ন ভোটের কথা মাথায় রেখে শাসকদলকে আগাম কাবু করতে মাষ্টারস্ট্রোক মোদী সরকারের।
সূত্রের খবর, ১১ লাখ বাড়ি তৈরির জন্য কেন্দ্রের তরফে এই কিস্তিতে ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নিয়ম অনুযায়ী গ্রামীণ বাড়ি তৈরির জন্য রাজ্য ৪০ শতাংশ ও কেন্দ্র ৬০ শতাংশ অর্থ প্রদান করে। ওই নিয়মেই হিসাব কষে মোট ১১ লাখ বাড়ি তৈরির জন্য ৮ হাজার 200 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের হঠাৎ এমন টাকা পাঠানোকে মাষ্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল রাজ্যের শাসক দলের। অভিযোগটা ছিল কেন্দ্র ঠিক ঠাক রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ টাকা নিয়ে সরব হয়েছেন।
২০১৫ সালে মোদী সরকারের হাত ধরেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা স্কিমটি চালু হয়। দেশের প্রত্যেক মানুষের মাথার উপর ছাদ গড়ে তোলাই এই যোজনার মূল লক্ষ্য ছিল। যে সমস্ত ব্যাক্তিদের পাকা বাড়ি করার সামর্থ্য নেই, তাদের সরকারী সাহায্যে পাকাবাড়ি বানিয়ে দেবার ব্যবস্থা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা- গ্রামীণ-এর আওতায় ২.৯৫ কোটি পাকা বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রের। এই মুহূর্তে প্রায় ২ কোটি পাকা বাড়ি তৈরি হয়েছে। এবং বাকি বাড়ি যাতে তৈরি হয়, তার জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ চালু রাখার ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র।