দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকে এবার প্রচুর লঙ্কা চাষ হওয়ায় চাষিরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় ছিলেন। কিন্তু বর্ষা শুরুর আগে বাজারে লঙ্কার দাম তিন-পাঁচ টাকা কেজি হওয়ায় বাধ্য হয়ে কৃষকরা জমিতেই তা ফেলে রেখেছিলেন। ফলে অযত্নে লঙ্কা গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে লঙ্কা গাছ তুলে ফেলে জমিতে অন্য ফসলের চাষ শুরু করেছেন। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হতেই লঙ্কার দাম অনেকটাই বাড়েছে। লঙ্কা গাছ নষ্ট করায় চাষিরা তাই আপশোস করছেন। আগামী বছর থেকে যাতে এভাবে চাষিরা ক্ষতির মুখোমুখি না হন তা নিয়ে জেলা উদ্যানপালন দপ্তর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। চাষিরা যাতে লঙ্কা সংরক্ষণ করতে পারেন আবার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করা যায় কি না সেনিয়েও চিন্তাভবনা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর কৃষিপ্রধান জেলা। ধান চাষের পাশাপাশি এখানে গম, সরিষার প্রচুর চাষ হয়। জেলায় তপন ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক’শো বিঘা জমিতে লঙ্কার চাষ করা হয়। এবারে লঙ্কা চাষ করে কৃষকরা দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু যখন দাম বাড়ল তখন তাঁদের কাছে লঙ্কা না থাকায় মাথায় হাত পড়েছে। জেলা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর তপন ব্লকের প্রায় পাঁচ হাজার বিঘা জমিতে লঙ্কা চাষ করা হয়েছে। প্রথম দিকে ১০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হলেও মে মাস থেকে দাম পড়তে শুরু করে। জুন মাসের প্রথম দিকে প্রতি কেজি তিন টাকায় এসে দাঁড়ায়। এখানকার উৎপাদিত লঙ্কা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। কিন্তু দাম তিন টাকায় নেমে আসায় ব্লকের অধিকাংশ চাষিই লঙ্কা জমিতে ফেলে রাখেন। অনেকে লঙ্কা গাছ তুলে ফেলে জমিতে আমন ধান লাগান। কিন্তু বর্ষা শুরু হওয়ায় লঙ্কার দাম হঠাৎ করে ১৫-২০ গুণ বেড়ে যাওয়ায় চাষিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
- রুনা নাথ