পেট্রল ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, তার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ বন্ধ থাকার জের। এককথায় নাভিশ্বাস উঠছে বেসরকারি বাস মালিকদের। পাশাপাশি, বাসের ভাড়ার মূল্যবৃদ্ধির কারণে যাত্রীদের হিমশিম খাবার অবস্থা | একদিকে বহু মানুষের বেতন কমেছে তার ওপর ট্রেন বন্ধ থাকায় বাসের দ্বিগুন ভাড়া | সবমিলিয়ে, বাস মালিক থেকে যাত্রীরা ছিল খুবই সংকটে | তাই, দূষণ রুখতে এবং নাগরিকদের খরচ বাঁচাতে গ্যাস অর্থাৎ সিএনজি(CNG) চালিত বাস রাস্তায় নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে পরিবহণ দফতর (West Bengal Transport Corporation)| সেজন্য বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির সঙ্গে মউ (MOU) চুক্তি সাক্ষর করল পরিবহণ দফতর। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য পরিবহণমন্ত্রী
শহরের কোথায় থাকবে স্টেশন (CNG stations):
পথে বেরিয়ে গ্যাস ফুরিয়ে গেলে যাতে যাত্রী সমেত বাসকে বিপাকে না পড়তে হয়, তার জন্য আগেভাগেই পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্যাস রিফিলিং সেন্টারের গড়ার ব্যবস্থা করতে চাইছে পরিবহণ দপ্তর |হাওড়া, সল্টলেক, নীলগঞ্জ, ঠাকুরপুকুর, বেলঘড়িয়া, সাঁতরাগাছি, করুনাময়ীতে সিএনজি ফিলিং স্টেশন তৈরি হবে। বেসরকারি বাসের জন্য প্রথম সিএনজি স্টেশন তৈরি হয়ে যাবে আগামী ৬ মাসের মধ্যেই। এতে পরিবেশ দূষণ কমবে। তাছাড়া পেট্রল ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন মালিকরা।
আরও পড়ুন -Post Poll-Violence: রাজ্যের আর্জি খারিজ, হাইকোর্টের ধাক্কা রাজ্যে
বাস ডিপো রিফিলিং প্রকল্প (Project):
পরিবহন নিগমে বাস ডিপো রিফিলিং প্রকল্পের জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড। কলকাতায় এই পরিষেবা দ্রুত চালু করতে আগামী দিনের ডিজেলচালিত বাসগুলিকে সিএনজি তে রূপান্তরিত করার কথাও ভাবছে রাজ্য পরিবহন দফতর । আপাতত এই বৈঠকে সরকারি বাসের জন্য বরাদ্দ রিসেলিং স্টেশনগুলি বেসরকারি বাসের জন্য খুলে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। অবিলম্বে কলকাতা পুরসভা ও সংলগ্ন এলাকার বাস ডিপোগুলিতে সিএনজি সরবরাহের কাজ শুরু করা হবে।
কয়েকদিনের মধ্যে পাইপ লাইনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে আপাতত ক্যাপসুল বেসিসে গ্যাস দেওয়া হবে | এক ঘণ্টায় যাতে ১৫টি বাসে গ্যাস ভরা যায়, সেরকম ভাবেই যন্ত্র বসানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে | সিএনজি চালিত বাস পথে নামলে, শুধু দূষণরোধই নয়, বাস ভাড়াও অনেক কমবে বলে আশাবাদী রাজ্য পরিবহন দপ্তর |
এছাড়াও ওভারলোডিংয়ের বিষয় একাধিক কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্তের কথা শুনিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘ন্যাশনাল হাইওয়েতে ওভারলোডিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হলেও রাজ্য সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। এবার থেকে নিয়মিত চেকিং করা হবে। প্রয়োজনে মাঝ রাস্তায় লোড কমিয়ে দেওয়া হবে। কত পরিমাণ ওভারলোড ছিল, আর পরে কতটা নামানো হল, এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, কীভাবে পেট্রোল-ডিজেল চালিত বাসগুলোকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করা হবে, তা নিয়েও ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা।
নিবন্ধ: রায়না ঘোষ
আরও পড়ুন - FSII এবং NSAI সরকারকে অবৈধ তুলা চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে