আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সুন্দরবনবাসীকে বাণিজ্যিকভাবে দিশা দেখাচ্ছে সরকারী উদ্যোগে নিখরচায় পুকুরে কাঁকড়া চাষ। এক বিঘা পুকুরে কাঁকড়া চাষ করে তিন মাসে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব বলে দাবী। একই পুকুরে পাঁচবার কাঁকড়া চাষ করা যায়। সুন্দরবনের উন্নতির জন্য সরকারী তরফে নিখরচায় চাষীদের কাঁকড়া দেওয়া হচ্ছে ও আবেদন করলে কাঁকড়ার খাবারেরও ব্যবস্থা করে দিচ্ছে কৃষি দপ্তর। ‘আতমা’ প্রকল্পে সন্দেশখালি দুই নম্বর ব্লকে তিনটি আদর্শ পুকুরে গড়ে তোলা হয়েছে চাষের জন্য।
জুন জুলাই মাসে চাষের জন্য পুকুরে কাঁকড়া ছাড়ার সময়। নোনাজলে কাঁকড়া চাষ ভালো হয় তাই চাষীরা খাড়ি ও ভেড়িতে কাঁকড়া চাষ করেন। কিন্তু সেই কাঁকড়া ঠিক মতো পাননা চাষীরা। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তাই পুকুরে কাঁকড়া চাষ করে লাভবান হতে পারেন তারা। কাঁকড়া যেহেতু সুড়ঙ্গ করে মাটির নীচে ঢুকে যায়, সে কারণে পুকুর তৈরীর সময় পলিথিন বিছিয়ে তার উপর ৬ ইঞ্চি মাটি দিতে হবে। পুকুরের চারদিকের দেওয়ালে কাঠের পাটাতন বা পলিথিন দিতে পারলে ভালো। এতে কাঁকড়া মাটির ভিতরে ঢুকে যেতে পারেনা, আবার কাঁকড়া ধরতেও সুবিধা হয়।
- তন্ময় কর্মকার