কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় গাছের চাহিদা বাড়ছে। এটি শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ গাছের কাঠ বাজারে বিক্রি হয় অনেক দামে। এই গাছ কাগজ,চপ স্টিক, বাক্স, ম্যাচ বাক্স ইত্যাদি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়।
মাটি
পপলার গাছের জন্য উর্বর মাটি থাকা প্রয়োজন । জৈব উপাদান দিয়ে চাষে গাছ বপন করলে চাষাবাদ ভালো হয়। পপলার গাছ ক্ষারীয় মাটিতে বপন করা উচিত নয়। এর মাটির pH মান ৫.৮ থেকে ৮.৫ এর মধ্যে হওয়া উচিত।
তাপমাত্রা
এর বপনের জন্য ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রা উপযুক্ত বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুনঃ কীভাবে লাল আলু চাষ করবেন,আপনিও লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারেন
চাষ পদ্ধতি
পপলার গাছের শিকড় গভীর চাষের পর জমিতে প্রচুর জল দিন। জল ছাড়ার পর রোটাভেটর দিয়ে দুই থেকে তিনবার ক্ষেত লাঙ্গল করতে হবে। এর পরে, মেশিন দিয়ে মাঠ সমান করুন।
আরও পড়ুনঃ জেনে নিন বিশ্বের সবচেয়ে ছোট জাতের গরুর নাম ও বিশেষত্ব
রোপণ পদ্ধতি
মাঠে সারি প্রস্তুত করার সময় 5 মিটার দূরত্ব থাকতে হবে। ৫ থেকে ৬ মিটার দূরত্বে প্রস্তুত এক মিটার গভীর গর্তে সারিবদ্ধভাবে চারা রোপণ করুন।
ফসল কাটা
পপলার একটি খুব দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ এবং স্বাভাবিক অবস্থায় এটি ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে সংগ্রহযোগ্য হয়।
উপার্জন
জনপ্রিয় গাছের কাঠের দাম প্রতি কুইন্টাল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এক হেক্টরে ২৫০টি গাছ লাগানো যায় এবং একটি গাছের গড় উচ্চতা প্রায় ৮০ ফুট। জনপ্রিয় গাছ থেকে প্রতি হেক্টর খামারে আয় হয় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। পপলার গাছ কাগজ, প্লাইউড, ম্যাচবক্স ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।