কৃষি বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে এই বছর অস্বাভাবিক গরম মার্চ এবং এপ্রিল গ্রীষ্মকালীন ফসলের ক্ষতি করতে পারে, যা ভারতীয় উপমহাদেশে 'রবি' (শীতকালীন) এবং 'খরিফ' (বর্ষা) ফসলের মধ্যে জন্মায়। বেশ কিছু রাজ্য ডাল, তৈলবীজ এবং পুষ্টিকর খাদ্যশস্যের মতো গ্রীষ্মকালীন ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রের কোনও উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগও করেছে। গ্রীষ্মকালীন ফসল বপন ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় এবং এই ফসল মে-জুন মাসে কাটা হয়।
এ বছর গ্রীষ্মকালীন ফসল নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার ও কৃষকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন ফসলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার হার ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রার হার 40 ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে ফসলের ক্ষতি হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা 40 ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে এবং ক্রমাগত শুকনো হচ্ছে, এটি এই ডাল ফসলের পরাগায়নে একটি পার্থক্য তৈরি করবে। যেসব কৃষকরা মার্চ মাসের মাঝামাঝি বা শেষ সপ্তাহে গম কাটার পর ডাল রোপণ করেছিলেন তাঁরা ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
আরও পড়ুনঃ বৈশাখ মাসে পাট চাষে কৃষকদের কি কি করণীয়
কৃষকরা এখন চাতক পাখির মত আশায় বসে রয়েছে কবে আসবে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিও সেভাবে এলে ক্ষতির মুখে পড়বে চাষিরা। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে শিলাবৃষ্টির প্রভাবে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে জমিতে। এদিকে রাজ্যের নদিয়া জেলায় ১৫ মিনিটের ঝড়ে নষ্ট করে দিয়েছে পটল, কলা ইত্যাদির জমি।
আরও পড়ুনঃ ১৫ মিনিটের কালবৈশাখী আর বজ্রপাতে মুর্শিদাবাদে মৃত ২, নদিয়ায় ১