উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সেরা হিমসাগর, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, মাদ্রাজী, ল্যাংড়া ইত্যাদি আমের জন্য বিখ্যাত। জেলার প্রায় ৮০০০ হেক্টর এলাকায় আমের বাগান তার মধ্যে বারাসত – ১ ও ২, গাইঘাটা, হাবড়া -২, আমডাঙ্গা, বসিরহাট – ১ ও ২, দেগঙ্গা প্রমূখ হলেও সব ব্লকেই কম বিস্তর আম বাগান রয়েছে। তবে আম ভালো হলেও নিদাগ ও গুনমানের আমের মুকুল আসার সময় থেকেই চাষিদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ ও অহেতুক বিষের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার শেখানো হয়েছে বলে জেলার উপ উদ্যানপালন অধিকর্তা শ্রী হৃষিকেশ খাঁড়া জানালেন। উদ্যানপালন দপ্তরের জেলা প্রধান আমাদের জানান এবার Of year হলেও আমের ফলন আনুমানিক ৪৭০০০ মেট্রিক টনের আশে পাশে হবার সম্ভাবনা। শুধু মুকুল থেকে ফলন অবধি প্রশিক্ষণই নয় এবার জেলা উদ্যানপালন দপ্তর গুজরাট থেকে উন্নত আম পাড়ার যন্ত্র আনিয়ে চয়ন ও চয়নোত্তর প্রযুক্তির উন্নত পাঠ দিচ্ছে। প্রশিক্ষনের কাজে রয়েছেন জেলার উদ্যানপালন দপ্তরের সহ উদ্যানপালন অধিকর্তা ড: শুভদীপ নাথ। তিনি জানান গরম শুরু হতেই ফলের মাছির আক্রমণ রুখতে পরিবেশ বান্ধব মিথাইল ইউজিনল ফাঁদের ব্যবহারের সঙ্গে বিশেষ স্প্রে ব্যবস্থারের মাধ্যমে আমের গায়ে কালো ছোপ রোখা থেকে উন্নত যন্ত্রের মাধ্যমে আম পেড়ে বোঁটা রেখে “Desapping” করার ফলে নিদাগ গুনমানে সেরা আম হচ্ছে ফলে জেলা থেকে এক ব্যবসায়ীক রপ্তানী সংস্থা দেড় টন হিমসাগর দুবাই ও কাতারে পাঠিয়েছে। চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে। এ ব্যবসাইক সংস্থার (DMR Green Valey Agri Ltd.) রাজীব নন্দী (৯৮৭৪৪৯১৭৫৯) জানালেন ফ্লাইটে জায়গার অভাবে পুরো রপ্তানী তারা করে উঠতে পারছেন না। চাহিদা রয়েছে লিচুরও। আমের ও লিচুর উন্নত গুনমানের প্রযুক্তি প্যাকেট উত্তর ২৪ পরগনার জেলা উদ্যানপালন দপ্তর চাষিদের শিখিয়েছে ও প্রচার করেছে আতমার প্রকল্পের সম্প্রসারন মাধ্যমে। ফলে ৭০০ কেজি করে মোট ২ মেট্রিক টন বোম্বাই লিচুও এবার ঐ ব্যবসায়ীক সংস্থা দুবাই কাতার ও দাম্মামে রপ্তানী করেছে।
রুনা নাথ।