উৎপল রায়, জলপাইগুড়ি, কৃষি জাগরণ: বাইরের রাজ্যে সোনালি মুরগির রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির ব্যাংককান্দি এলাকার সোনালি মুরগি খামারের মালিকরা। যদিও বেশ কয়েকদিন আগেই ব্যাংককান্দি এলাকার গ্রামীণ রাস্তায় সোনালী মুরগি হাতে নিয়ে খামারের মালিকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
জানা যায়, এই এলাকায় ১৫০টির উপরে সোনালি মুরগির খামার রয়েছে। কি কারণে আসাম এবং বিহার রাজ্যে এই মুরগি রপ্তানি বন্ধ হয়েছে। সেটার সঠিকভাবে তারা জানতে এখনও পারেননি। খামারের মালিকরা ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, বাইরের রাজ্যের গেট বন্ধ থাকায় সেই রাজ্যে রপ্তানি করতে না পারায় মালিকের কাছে মুরগি ক্রয় করতে পারছেন না। এদিকে ব্যবসায়ীরা সোনালী মুরগী না কেনায় বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে খামার মালিকদের।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টির ফলে নিদ্রাহীন আলু চাষিরা! মাথায় হাত বাংলার কৃষকদের
একজন খামার মালিক গৌতম রায় বলেন, এখানে সাতটি ঘরের মধ্যে ১২ হাজার মুরগি পালন হচ্ছে। এক একটি মুরগির বিক্রির বয়স ৮০ থেকে ৯০ দিন হয়েছে। এদিকে ওজন প্রায় ৯০০ গ্রাম থেকে ১কেজি হয়েছে। এখন যদি এই মুরগি গুলি বিক্রি না হওয়ায় বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই ১২০০ মুরগি পালন করতে ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এখন যদি এই মুরগিগুলি বিক্রি করা হয়, তাহলে ২৫ লক্ষ টাকারও বেশি লাভ হবে। কয়েক দিনের মধ্যে যদি এই মুরগি বিক্রি করা সম্ভব না হয় তাহলে খামার মালিকদের বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। যদি বিষয়টা প্রশাসন নজরদারি দিয়ে খতিয়ে দেখে তাহলে বিরাট উপকৃত হবে খামার মালিকরা।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত তামাক! দ্রুত তামাক কাটতে ব্যস্ত জলপাইগুড়ির চাষীরা