“কৃষক মানেই দ্ররিদ্র” আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষের মনেই কৃষক সম্পর্কে এই ধরনের একটি প্রতিচ্ছবি রয়েছে। যে কোনও ম্যাগাজিন, পোষ্টার, সিনেমা ইত্যাদি গনমাধ্যম গুলিতে কৃষক মানেই গরিব, হতাশ ইত্যাদি দর্শকদের সামনে দেখানো হয়। সম্প্রতি এই বিষয় নিয়েই মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী । তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “'কৃষক মানে দরিদ্র' এই ধারনা বদলানো দরকার কারণ এই ধরনের "ভুল বোঝাবুঝি" যুবকদের কৃষিকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করতে নিরুৎসাহিত করছে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় মন্ত্রি মনে করেন গতানুগতিক ভাবে কৃষকদের যে ছবি জনগনদের সামনে তুলে ধরা হয় সেটিই যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করছে এবং তাঁরা কৃষিকে পেশা হিসেবে গ্রহন করতে পিছুপা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে পেয়ারা চাষ করছেন যুবক , আয় শুনলে অবাক হবেন
কৃষি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “যখনই গ্রামে বা অন্য কোথাও কৃষকদের নিয়ে আলোচনা হয়, তখনই একটি সাধারণ ধারণা তৈরি হয় যে 'কৃষকদের দরিদ্র হওয়া উচিত'। এমনকি কৃষকদের নিয়ে যে কোনো গল্পে এই গ্রামে বসবাসকারী একজন দরিদ্র কৃষক' দিয়ে শুরু হয়, তিনি বলেন, 'গরীব' শব্দটি সর্বদা কৃষকদের সাথে জড়িত।“ পাশাপাশি তিনি বলেন, “ যখনই কোনো পত্রিকায় কৃষকের ছবি দেখি, একজন কৃষককে ছেঁড়া কাপড় পড়ে শুকনো জমিতে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে দেখানো হয়েছে। একজন কৃষকের এমন বর্ণনা তরুণদের মনে একটি ‘ভুল প্রতিচ্ছবি’ তৈরি করেছে, আর তাই আজকের যুবসমাজ কৃষিকে পেশা হিসেবে নিতে চায় না।“
আরও পড়ুনঃ নতুন বছরে ১১ কোটি কৃষকদের উপহার মোদীর! জানুয়ারিতেই ঢুকবে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পের ১০তম কিস্তি
এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন, তরুণরা মনে করে, তারা কৃষিকাজে নামলে তাদের অবস্থা কৃষকদের সম্পর্কে বই ও গণমাধ্যমে যেভাবে বর্ণিত হয়েছে, সেরকমই হবে। কৃষি খাতকে বাড়ানোর জন্য গৃহীত পদক্ষেপের উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য কাজ করছে। তিনি ভালো আয়ের জন্য শস্য বহুমুখীকরণ এবং উচ্চমূল্যের ফলনশীল ফসল গ্রহণের ওপর জোর দিচ্ছেন।