এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 30 September, 2019 11:40 PM IST

পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার মানবাজার আই ব্লকের জানরা গ্রামের তরমুজ চাষী সুরিদেন্দু মাহাতো রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন-এর সহায়তায় আজ একজন সফল চাষী। তিনি এবং তার পরিবার প্রযুক্তিগত পরিষেবার জন্য স্থানীয় ডিলারদের উপর নির্ভর করতেন এবং তাদের উপর নির্ভর করে তারা অধিক লাভবান হতেন না। কৃষিক্ষেত্রে তার ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য তিনি গত বছর খরিফ পরবর্তী মৌসুমে জমিতে তরমুজ চাষের পরিকল্পনা করছিলেন, তবে এতে জড়িত প্রযুক্তি সম্পর্কে তিনি সম্পূর্ণ রূপে অবগত ছিলেন না।

২০১৮ সালের নভেম্বরে তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এবং বাংলা দৈনিক পত্রিকা "প্রতিদিন" -এর টোল-ফ্রি নম্বর-এর সম্পর্কে অবগত হয়েছিলেন। আরও সময় নষ্ট না করে তিনি তাত্ক্ষণিকভাবে তার জমিতে তরমুজ চাষ সম্পর্কে আরও অন্তর্দৃষ্টি পেতে টোল ফ্রি নাম্বারে ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০ কল করেছিলেন। তার প্রধান প্রশ্নগুলি ছিল বীজের বিভিন্ন ধরনের বাছাইয়ের সাথে সম্পর্কিত, যা তাকে অধিক লাভ প্রদান করতে পারে এবং জমি প্রস্তুতির প্রক্রিয়ার সাথেও সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন তিনি করেন। আরএফ কৃষি বিশেষজ্ঞের দেওয়া পরামর্শের ভিত্তিতে তিনি বাজার থেকে বীজ কিনে পরবর্তীতে ৫ বিঘা জমিতে আবাদ শুরু করেন। কয়েক মাস পরে, ফুলের পর্যায়ে, তিনি পর্যবেক্ষণ করেন যে উদ্ভিদের বৃদ্ধি স্তব্ধ হয়ে গেছে এবং শিকড়গুলি কিছুটা ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত। তিনি আবারও টোল ফ্রি নাম্বারে কল করেন। বিশেষজ্ঞরা, সমস্ত লক্ষণ শুনে এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভাগ করা কিছু স্ন্যাপ পর্যালোচনা করে কিছু প্রতিকারের পরামর্শ তাকে প্রদান করেন। তিনি বিশেষজ্ঞের দ্বারা পরামর্শকৃত চিকিত্সা প্রয়োগ করে সাফল্যের সাথে শস্যগুলি সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন ।

আরএফআইএস প্ল্যাটফর্মের প্রযুক্তিগত দিকনির্দেশনা ও সহায়তায় সুরিদেন্দু তার ৫ বিঘা জমি থেকে প্রায় দেড়শত কুইন্টাল তরমুজ উত্পাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রাথমিক সময়ে তিনি পুরুলিয়ার স্থানীয় বাজারে প্রায় ৩০ কুইন্টাল তরমুজ বিক্রি করেছেন কেজি প্রতি ৮ টাকা দরে ​​এবং পরে বাকি অর্থাৎ ১২০ কুইন্টালের কাছাকাছি তরমুজ তার গ্রাম থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বোকারোর বাজারে, প্রতি কেজি ১১ টাকা হারে বিক্রি করেছেন। তিনি তার ৫ বিঘা ক্ষেত থেকে প্রায় ১৫৬,০০০ / - টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন এবং লাভবান হয়েছেন।

 তিনি রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ইনফরমেশন সার্ভিসেস-এর বিনা মূল্যে ভয়েস এবং টেক্সট বার্তাগুলি গ্রহণের জন্য নিজের নাম এবং মোবাইল নম্বরটি নিবন্ধভুক্ত করেছিলেন। অত্যন্ত আনন্দের সাথে, সুরিদেন্দু মাহাতো জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর সাথে সংযোগে থাকা প্রতিটি কৃষককে এগিয়ে আসার জন্য এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রের প্রযুক্তিগত আপডেট এবং পরামর্শের জন্য রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন তথ্য পরিষেবাদির দেওয়া প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে বলেছেন।

তথ্য সূত্র

প্রদীপ পান্ডা

অনুবাদ

স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)

English Summary: Farmers are earning more by using Reliance Foundation's platform
Published on: 30 September 2019, 11:40 IST