জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির বাগনান গ্রামের ৯ জন প্রগতিশীল শিক্ষিত যুবক আজ থেকে ৬ বছর আগে গড়ে তুলেছিলেন ‘প্রগতিশীল ফামার্স অর্গানাইজেশন’। প্রথমে তারা উন্নত প্রথায় ফসল ফলালেন তার সঙ্গে গ্রামের কৃষকদের বৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষ করতে উৎসাহিত করলেন। উদ্দেশ্য ছিল গ্রামের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন। রাজ্যের কৃষি দপ্তর ও নাবার্ডের অনুদানে তারা একটি তেলের মিল তৈরি করেন। শুধু তাদের নিজেদেরকে মিলের ঘরটি তৈরি করে দিতে হয়েছে। আগে গ্রামের কৃষকরা জমিতে সরষে ফলিয়ে তা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হত। এখন নিজেদের মিলে তেল তৈরি করে তা বিক্রি করছেন এলাকার কৃষকরা। দিনে ১ কুইন্টাল করে সরষের তেল উৎপন্ন হচ্ছে এই মিলে। উৎপাদিত সরষের তেলের ব্র্যান্ড ‘প্রগতি’। তেল উৎপাদন নিজেরাই করে ও উপযুক্ত দাম পেয়ে গ্রামের কৃষকের সরষেচাষে উৎসাহ পাচ্ছেন।
গ্রামের মহিলাদের নিয়ে গড়ে উঠেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। তারা হলুদ , লঙ্কা ইত্যাদি মশলার গুঁড়োর প্যাকেট তৈরি করছেন। দু -এক বছরের মধ্যে কাস্টম হায়ারিং সেন্টার খুলতে চায় এই ফার্মার্স ক্লাব, যাতে এলাকার কৃষকরা কৃষি যন্ত্রাংশের সুবিধা পেতে পারেন। ফার্মার্স ক্লাবের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে সেখানকার কৃষকরা অপ্রচলিত সবজি যেমন ব্রকলি, সামার স্কোয়াস, ক্যাপসিকাম ও পরীক্ষামূলকভাবে সুগন্ধি ধান, তুলাইপাঞ্জি, কালো নুনিয়া ইত্যাদি চাষ করছেন। এই ভাবে ‘প্রগতিশীল ফামার্স অর্গানাইজেশন’ এর হাত ধরে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ির পিছিয়ে থাকা গ্রামটি।
- রুনা নাথ