এই বছরে ভারতের কৃষকেরা সার ব্যবহারে ২০ শতাংশ বেশী খরচা করেছেন। বিশ্বের বাজারে প্রধান কাঁচামাল যেমন ফসফেট ও পটাশের মূল্য বৃদ্ধি এক প্রধান কারণ। ইউরিয়ার দাম সরকারী নিয়ন্ত্রণের ফলে নিয়ন্ত্রিত থাকলেও জমিতে প্রদেয় মূল্য সাবসিডি বিল বৃদ্ধি করবে, এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
ডায়ামোনিয়াম ফসফেট (DAP) এর দাম বর্তমানে ২০ শতাংশ বেশী, বিগত রবি মরশুমের থেকে। প্রত্যেক ৫০ কেজি ব্যাগের দাম পড়ছে ১,২৯০ টাকা। এই সময়কালে মুরিয়েট পটাশের দাম প্রায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রতি ব্যাগের দাম প্রায় ৭০০ টাকা হয়েছে। নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ (NPK) গ্রেডেরও দাম ১০ থেকে ১২ শতাংশ বেড়েছে ও ৫০ কেজির একটি ব্যাগের দাম ৯০০-১০০০ টাকা হয়েছে।
ICRA এর বরিষ্ঠ সহ-সভাপতি কে রবিচন্দ্রন বলেন “ফসফোরিক অ্যাসিড, DAP এবং MOP এর প্রভূত মূল্যবৃদ্ধি; সাথে সাম্প্রতিক টাকার মূল্যহ্রাস এবং ডোমেস্টিক P এবং K সার উৎপাদনকারীদের উৎপাদন মূল্য ও বিক্রির হার বেড়ে যাওয়া সারের মূল্যবৃদ্ধির কারণ।” কৃষি মন্ত্রালয়ের দাবী অনুযায়ী খরিফ মরশুমে সারের প্রয়োজনীয়তা মেটানো যাবে। ১৫৪ লাখ টন ইউরিয়া, ৮৯.২০ লাখ টন DAP, ২০.২৫ লাখ টন MOP, ৪৯.৭৩ লাখ টন NPK এবং ২৬.২৫ লাখ টন SSP লাগবে বলে সমীক্ষায় অনুমান করেছেন তারা। সরকারের দ্বারা ইউরিয়ার দাম নিয়ন্ত্রিত থাকায় ইউরিয়ার দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই যদিও এক্ষেত্রে কোম্পানী-গুলিকে আরও সাবসিডি দিতে হতে পারে।
- তন্ময় কর্মকার