আজ মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের গোরখপুর সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এর মধ্যে উল্ল্যেখ যোগ্য গোরখপুর সার প্ল্যান্ট, যার ভিত্তিপ্রস্তর তিনি নিজেই ২০১৬ সালের জুলাইয়ে স্থাপন করেছিলেন। গত ৩০ বছর ধরে বন্ধ থাকা এই কারখানাটি ৮৬০০ কোটি টাকা দিয়ে পুনরায় চালু করা হয়েছে।
এই সার কারখানাটি চালু হলে পূর্বাঙ্চল এবং এর আশেপাশের এলাকার কৃষকরা অনেক উপকৃত হবেন। পাশাপাশি সমগ্র অঙ্চলের অর্থনিতি শক্তিশালী হবে । প্রধানমন্ত্রী এদিন গোরাখপুরে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সস এরও উদ্বোধন করবেন।প্রায় ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে।
গোরখপুরের সার প্ল্যান্টটি ৬০০ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, কারখানাটি পুনরায় চালু করতে ৮৯০৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই কারখানা চালু হলে পূর্বাঞ্চলে চাষাবাদের জন্য পর্যাপ্ত সার পাওয়া যাবে। এই কারখানায় প্রতিদিন ৩৮৫০ নিম কোটেড ইউরিয়া এবং ২২০০ মেট্রিক টন তরল অ্যামোনিয়া উৎপাদন হবে । এই সার কারখানা চালু হলে ২০ হাজার মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান হবে। এর পাশাপাশি আশেপাশের মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৭-এ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোরখপুরে এই কারখানার ভিতপূজো করেছিলেন। ৪ বছরের মধ্যে এই কারখানার কাজ শেষ করা হয়। প্রায় ৩১ বছর ধরে বন্ধ থাকার পর কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় পুণরায় এই কারখানা চালু করা হচ্ছে । এ প্লান্টে অ্যামোনিয়া থেকে ইউরিয়া তৈরির কাজ ব্যাপক হারে হবে ।
এই কারখানায় তৈরি সার 'আপনা ইউরিয়া সোনা উগায়ে' নামে বিক্রি করা হবে। এই সার কারখানাটি ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার (এফসিআই) অধীনে কাজ করবে । ১৯৯০ সালের ১০ জুন কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার শুরু করা হলেও তা সফল হয়নি।ফের বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটি। পরে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী গোরখপুরে এসে এই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। গোরখপুরের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের সিন্দ্রিতেও একটি ইউরিয়া কারখানা তৈরি হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি ওই কারখানার কাজ চালু হবে ।
আরও পড়ুন
ধান চাষে নিষেধাজ্ঞা, ক্ষোভ বাড়ছে তেলেঙ্গানার কৃষকদের মধ্যে
কৃষকের ফসল বাঁচাতে সাহায্য করবে MSP