বন্ধ হয়েছে আলু রাখার রাস্তাও। যে পরিমাণ আলুর উৎপাদন হয়েছে সেই পরিমাণ আলু রাখার পর্যাপ্ত হিমঘর রাখার অভাব রয়েছে। ফলে আলু মজুত রাখতেও রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের। এমনকি বাজার থেকেও সঠিক দাম মিলছে না আলু চাষিদের। বর্তমানে ৫০০ টাকা কুইন্টাল প্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে বাজারে। সুত্রের খবর মালদহ জেলায় এবছর সবচেয়ে বেশি আলুর ফলন হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার ১১৬ হেক্টর জমিতে এবছর আলু চাষ হয়। সেখানে ফলনও হয়েছে প্রায় ৯৫ শতাংশ জমিতে। কিন্তু ফলন হয়েও কি লাভ যেখানে মিলছে না সঠিক দাম।
বঙ্গে আলু চাষিদের হাহাকার নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউজে এসেছিলেন তিনি। সেখানে এসে আলু চাষিদের পাশে দাঁড়ালেন মন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন ফড়েরা আলু চাষিদের বাধ্য করছেন কম দামে আলু বিক্রি করার জন্য। এছাড়াও অভাবী বিক্রি রুখতে কৃষি আধিকারিকদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন সরকার যে মুল্যে আলুর দাম নির্ধারণ করেছে চাষিদের কাছে যেন সেই মুল্যে আলু কেনা হয়। পাশাপাশি দালাল দের কারচুপি যাতে বন্ধ হয় সেদিকেও কৃষি আধিকারিকদের মনিটরিং করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ মমতার মাস্টারস্ট্রোক! বঙ্গবাসির জন্য আরও ১০ কোটির প্রকল্প
তিনি জানান ইতিমধ্যেই সারের কালোবাজারি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার আলু চাষিদের সমস্যা দূর করতে তৎপর রাজ্য। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখবে সরকার। পাশাপাশি রাজ্যে যাতে হিমঘর বাড়ানো হয় সেই পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুনঃ Red Sandalwood: জঙ্গলমহলে এবার লাল চন্দন চাষ! বন দফতরের প্রস্তুতি তুঙ্গে