কৃষিজাগরন ডেস্কঃ এক ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী থাকল কৃষি জাগরন। আজ সোমবার কৃষিজাগরনের সদর দফতর নয়া দিল্লিতে এক আলচনা সভায় অংশ গ্রহন করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ডঃ সিভি আনন্দ বোস।বিকেল ৪.১৫ মিনিটে কৃষিজাগরনের সদর দফতরে আসেন রাজ্যপাল।সেখানে কৃষি সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেন তিনি।
কৃষির সঙ্গে তাঁর আত্মিক টান কতটা তা বোঝাতা সকলকে মনে করিয়ে দেন যে তিনি নিজেও একজন কৃষক পরিবারের সন্তান।তাই কৃষি যে তিনি ভালোই বোঝেন তাও মনে করিয়ে দেন সকলকে।তিনি বলেন, “আমি কৃষি পরিবার থেকে আসা, কৃষি ও মাটির সম্পর্ক ঐশ্বরিক”। তিনি আরও বলেন, “আমি কেরালা থেকে এসেছি, দেবতাদের নিজের দেশ, পরেশরাম নিজের কুঠার দিয়ে এই সৃষ্টি করেছেন” , তিনি লিখেছেন কৃষি গীতা, কীভাবে বীজ বপন করা যায়, কীভাবে চাষ করা যায়। তাঁর সংযোজন, “মহামারীর সময় কৃষকরা এই দেশ চালিয়েছে। কারণ কৃষিকাজই ঐশ্বরিক উৎপত্তি। আপনি যা চান তা কৃষি আপনাকে সরবরাহ করতে পারে। .... প্রকৃতি একটি মহান শিক্ষক, প্রকৃতি কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করে না....।
আরও পড়ুনঃ বাংলা শিখতে চান রাজ্যপাল,হাতেখড়ি হবে সরস্বতী পুজোয়
বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন রাজ্যপাল। তবে আজ রাতেই কলকাতা ফেরার কথা রয়েছে তাঁর।তবে কলকাতা ফিরেই রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।কারন এপ্রিলেই বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তরফে একটি চিঠি গিয়েছিল রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে। যাতে বলা হয়েছিল, উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট রাজভবনে আচার্যের কাছে পাঠাতে হবে। ওই চিঠি থেকেই রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাতের সূত্রপাত। সোমবার আবার উপাচার্যদের চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য–রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ আজ শিক্ষামন্ত্রী–উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস