আসানসোলে একটি অবৈধ কয়লা খনি ধসে ২৫ জন শ্রমিক আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে । অন্য রাজ্যের শ্রমিকরা কয়লা খনিতে ঢুকে অবৈধভাবে কয়লা নিয়ে যাচ্ছিল । আচমকা সেই খনি ধসে আসানসোলে অন্তত ২৫ জনের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও সিআইএসএফ। কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের একজন প্রতিনিধিও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
রবিবার সকালে কুলটি থানার বোদরা গ্রামে বিসিসিএলের ১২ নম্বর হাজলার গর্তের একটি বড় অংশ ধসে পড়ে। ওই খনিতে ২০ থেকে ২৫ জন চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত করছে। খনির ভেতরে কত মানুষ আটকা পড়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খনিতে অবৈধভাবে কয়লা প্রবেশ করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। যদিও তা লক করে দিয়েছে বিসিসিএল খনি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে গ্রামবাসীও বিশেষ কিছু বলতে চান না। তাদের অভিযোগ একটাই, রবিবার সকালে কয়েকজন কয়লা খনিতে কয়লা চুরি করতে যায়। এরই মধ্যে হঠাৎ খনিটি ঢুকে পড়ে। কেউ কেউ এতে অভিভূত। আপনাদের বলে রাখি যে সাম্প্রতিক সময়ে ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার আসানসোলের কয়লা খনির এলাকায় বেআইনি কয়লা উত্তোলনের বহু ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে এবং বহুবার এতে মানুষ আটকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু প্রশাসন ও প্রশাসন। অবৈধ কয়লা খনন বন্ধে তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। অবৈধ কয়লা উত্তোলনে কয়লা মাফিয়াদের একটি বড় অংশের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জেলায় জেলায় নামছে পারদ, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা থাকবে আরও ২ দিন
লালন মেহরা নামে স্থানীয় এক বিজেপি কাউন্সিলর এই অভিযোগ করেন। তিনি এ অবৈধ কয়লা ব্যবসার বিষয়ে প্রশাসন ও কোলিয়ারী কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কিন্তু কিছুই কাজ করেনি। কাউন্সিলরের কথায়, “এখানে অবৈধভাবে কয়লার ব্যবসা চলছে। কিন্তু কাউকে জানানো সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশ ও প্রশাসনের মদদে সিন্ডিকেটের মতো এই অবৈধ কাজ করা হচ্ছে। আপনি প্রতিদিন 100 টাকা পেতে পারেন। অন্যরা সেই সুযোগে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে।
আরও পড়ুনঃ রাজস্থানের কৃষকরা ৪ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা বাজরার চারা উৎপাদন করেছেন