কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ভিত্তিতে মাটি পরীক্ষা ও উদ্ভিদ বিশ্লেষণের নতুন কৌশল উদ্ভাবন করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে মাটিতে প্রয়োজনীয় উপাদানের পরিমাণ ও অনুপাত জেনে গাছের স্বাস্থ্য ও সম্ভাব্য ফলন নির্ণয় করা যায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উদ্ভিদ ও সার ব্যবহার করতে হবে। মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে সার ব্যবহার করলে অধিক লাভের সম্ভাবনা বাড়ে। মাটি পরীক্ষা ছাড়া ব্যবহার করা সারের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে ফসলের ফলন কম হয় এবং দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত পরিমাণে সার ব্যবহার করার সম্ভাবনাও থাকে, যা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কম উপকারী এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
উভয় পরিস্থিতিতেই পুষ্টির পরিমাণ সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় না। প্রয়োজনীয় উপাদানের সঠিক ও সুষম পরিমাণ ব্যবহার করলেই ভালো মানের এবং ভালো ফসলের ফলন পাওয়া যায় এবং একই সঙ্গে মাটির উর্বরতাও বজায় থাকে।
আরও পড়ুনঃProfitable Farming: তেলের দাম ২০ হাজার টাকা, চাহিদা বাড়ছে এই সুগন্ধি চাষে
মাটির নমুনা নেওয়ার সঠিক উপায়
মাটি পরীক্ষার সাফল্য নির্ভর করে কিভাবে নমুনা নেওয়া হয় তার উপর। একটি ভাল নমুনা খামারের একটি সত্যিকারের প্রতিনিধিত্ব। যদি সঠিকভাবে নমুনা না নেওয়া হয়, তবে সর্বাধুনিক পরীক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন করে বা বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ করার পরেও মাটি পরীক্ষার সম্পূর্ণ সুফল পাওয়া যাবে না। ফসলের প্রকৃতি এবং অন্যান্য উদ্দেশ্য বিবেচনায় রেখে নমুনা সংগ্রহের একটি উপযুক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে যা নীচে বর্ণিত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তবে কি আমরাই আগামী প্রজন্মকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছি !
মাটির নমুনা নেওয়ার সময় যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে
মাটির নমুনা নেওয়ার সময় নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে-
১। নমুনা নেওয়ার সময়, সর্বদা মনে রাখবেন যে নমুনার স্থানটি গাছের নীচে বা শস্যের শিকড়ে, গোবর সার গর্তের কাছে এবং কোনও পৃথক গর্তের কাছাকাছি হওয়া উচিত নয়।
২। ঢাল, মাটির ধরন, ফসল উৎপাদন, ফসলের চক্র, সার এবং সার ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে, বিভিন্ন ক্ষেত্র বা তাদের অংশগুলি থেকে বিভিন্ন নমুনা প্রস্তুত করতে হবে। রেহ, কাল্লার (উসার) ইত্যাদি। আলাদাভাবে ২টি নমুনা প্রস্তুত করুন।
৩। কোনো অবস্থাতেই নমুনাগুলি ছাই, ওষুধ, গোবর সার এবং সার ইত্যাদির সংস্পর্শে আসা উচিত নয়।
৪। শুধুমাত্র একটি পরিষ্কার, নতুন ব্যাগ, পরিষ্কার প্লাস্টিকের বালতি বা ট্রে এবং নমুনার জন্য একটি পরিষ্কার জায়গা ব্যবহার করুন।
৫। মাটি ভেজা থাকলে কলমের পরিবর্তে পেন্সিল দিয়ে লেবেল লিখে ব্যাগে রাখুন।
৬। নমুনার শনাক্তকরণ চিহ্ন (ক্রমিক নম্বর ১,২,৩ ইত্যাদি) এবং সেচের উপায়, ফসলের নাম, নমুনার গভীরতা ইত্যাদিও লেবেলে লিখতে হবে।