সরকার প্রদত্ত জারি করা লকডাউনে সাধারণ মানুষের সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের কৃষক সম্প্রদায়ও। কৃষকরা যে পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, এতে করে সবজি এবং ফসল রোপনে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সরবরাহে বিঘ্নের ফলে আগত সময়ে জুন এবং জুলাইয়ে শাকসবজির ঘাটতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যবিদরা।
কৃষকরা লোকসান এড়াতে সবজি চাষ থেকে বিরত থাকছেন। এই মরসুমে টমেটো চারা রোপণের পরিমাণ প্রায় ৮০% হ্রাস পেয়েছে। লকডাউনের কারণে সবজি বিক্রি করতে না পারায় তারা এরই মধ্যে প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে তারা আরও লোকসান করবেন।
লকডাউনের প্রভাবিত করেছে পরিবহন ব্যবস্থাকে। কৃষকরা ডাক বিভাগের সাহায্যে বীজ সরবরাহ করতে চাইলেও মুষ্টিমেয় উত্পাদিত অঞ্চল থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে উচ্চমূল্যে নিম্নমানের সবজির বীজ প্রেরণ করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় দেশজুড়ে কৃষকরা উদ্ভিজ্জ বীজ বপন করতে নারাজ।
সারাদেশের কৃষকরা আতঙ্কে রয়েছেন, কারণ ফল ও শাকসব্জি সংগ্রহের সময়কাল উপস্থিত। আর ফসল প্রস্তুত হয়ে গেলে ৭-৮ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করতে হয়। কারফিউর কারণে চাহিদাও কমেছে। যান চলাচলের অসুবিধার কারণে তারা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরে এসে তাদের ফসল বিক্রয় করতে পারছেন না। মান্ডির কার্যক্রমও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, পরিবহণের সমস্যার কারণে তাদের ফসল বিক্রি হচ্ছে না। কয়েকদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে তাদের ফসল ক্ষেতেই পচে নষ্ট হবে। এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে চলেছে আগামী দিনে। লোকসানের ভয়ে কৃষকরা চাষ না করলে শুধু যে বাজারে শাক সবজির ঘাটতি দেখা দেবে তা নয়, এর প্রভাব পড়বে সমগ্র দেশেই।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)