কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ২০ হাজার অফসিজেন সবজির চারা বিতরণ করল কালিম্পং জেলা হরর্টিকালচার দপ্তর।রবিবার ৫০ জন চাষীর হাতে লাল বাঁধাকপি, ব্রোকোলি, রঙিন ফুলকপি ও ক্যাপসিকামের মতো চড়া দরের সবজির চারা বিতরণ করা হয়। এরপর আরও ২০০ চাষীর হাতে ওই চারা তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা হরর্টিকালচার দপ্তর।
গত ১০ নভেম্বর হর্টিকালচার দপ্তরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা ২৬১ জন চাষীদের পলি হাউস তৈরির কিট তুলে দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে সিন্দেবং ছাড়াও পুদুং, ডুংরা, লোলে এলাকার চাষীরা নিজেদের জমিতে পলি হাউস তৈরির কাজ শুরুও করে।
আরও পড়ুনঃ এবার গ্লাইফোসেট ব্যবহারে বিধি নিষেধ
যাদের কাজটি শেষ হয়ে গেছে এদিন সেরকম চাষীদের চারাগুলি তুলে দেওয়া হয়। যা সিন্দেবং এর ধোরেখোলা নামে একটি স্থানে চালু হওয়া চারা তৈরির কেন্দ্রীয় ইউনিটে তৈরি হয়েছে। সেখানে এখনো পর্যন্ত ৪০ হাজার চারা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। পলি হাউসে চারা রোপণের পর উৎপাদিত ফসল বিপণনের ক্ষেত্রেও চাষীদের সহযোগিতা করা হবে বলে হর্টিকালচার আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
সুত্রের খবর, পাহাড়ের কয়েকটি গ্রামকে ফসলের জন্য বর্হিবিশ্বের কাছে পরিচিত করে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ওয়ান ভিলেজ-ওয়ান ক্রপ। এরই অঙ্গ হিসেবে প্রথম দফায় গরুবাথান ব্লকের তোদে-তাংদা এলাকায় ২৩৬ জনকে পলি হাউস দেওয়া হয়েছিল। সেখানে এখন বাহারি লিলিয়াম ফুলের চাষ হচ্ছে। ওই ফুলকে বিদেশে রপ্তানীর দিশা দেখানোই হর্টিকালচার দপ্তরের লক্ষ্য।
আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে সমস্ত এলাকার চাষীরা পলি হাউস তৈরির কাজটি শেষ করে ফেলেন এরকমই ডেট লাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে জেলা হর্টিকালচার দপ্তরের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুনঃ পেয়ারা চাষ করে কোটি হলেন বাংলাদেশের যুবক
ফসলে বৈচিত্র্য আনতে জেলা হর্টিকালচার দফতর নানা রকম কর্মসূচি গ্রহন করছে। লিলিয়াম রপ্তানীর পরিকল্পনা গ্রহনের আগে অত্যন্ত ঝাল লঙ্কা হিসেবে পরিচিত কালিম্পং এর ডাল্লে খুরসানিকে মধ্য প্রাচ্যের একাধিক দেশে রপ্তানী করা সম্ভব হয়েছে।
রবিবার সিন্দেবং এ চারা বিতরণের যে অনুষ্ঠানটি হয় সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা কৃষিজ বিপণন দপ্তরের আধিকারিক দীপঙ্কর পন্ডিত, জিটিএ-র এগ্রি্কালচার ও হর্টিকালচার দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মেম্বার অন ডিউটি (এমওডি) বিকাশ রাই প্রমুখ। দ্বিতীয় দফার কাজ পরিপূর্ণতা লাভের পর তৃতীয় দফায় কালিম্পং এর নানা গ্রামে নতুন করে পলি হাউসের চাষাবাসের প্রকল্পটি সম্প্রসারিত করার লক্ষ্য রয়েছে জেলা হর্টিকালচার দপ্তরের।