সময়ের সাথে সাথে ঝাড়খন্ডের কৃষিতে নারীদের অবদান বাড়ছে। রাজ্যে অনেক মহিলা কৃষক রয়েছেন যারা ভাল কাজ করছেন। নারীরাও নতুন প্রযুক্তি ও নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করছেন প্রচুর। একটা সময় ছিল যখন মহিলারা মাঠে শুধু হালকা কাজ করত, বীজ বপন, ধান কাটার মতো কাজেও অবদান রাখত। একই সঙ্গে নারীরা আজ কৃষিকাজ সংক্রান্ত প্রতিটি কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, কৃষকরা একটি প্রযোজক কোম্পানি ( এফপিও ) গঠন করে তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করছে ।
প্রযুক্তির ব্যবহারে চাষ করা সহজ হয়েছে
ঝাড়খণ্ডে, গ্রামীণ মহিলারা জেএসএলপিএস দ্বারা পরিচালিত মহিলা দলগুলিতে যোগ দিয়ে স্বনির্ভরতার পাঠ শেখাচ্ছে । এর মাধ্যমে নারীদের উন্নত কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ কারণে নারীরা এখন ক্ষেত চাষের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষি সরঞ্জাম ব্যবহার করে কৃষিকাজকে সহজ করে তুলছেন। ব্যাটারিচালিত মেশিন ব্যবহার করে ওষুধ ও কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। তিনি নিজেও ক্ষেতে নিড়ানি ও কুড়াল করার কাজ করছেন।
সৌর শক্তি চালিত ড্রিপ সেচের মাধ্যমে সহজে সেচ করা যায়
সনাতন পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া ছিল খুবই শ্রমসাধ্য কাজ। যন্ত্র নিয়ে ক্ষেতে গিয়ে তা দিয়ে সেচ দেওয়া সহজ ছিল না। কিন্তু সৌরশক্তি চালিত ড্রিপ ইরিগেশন সুবিধা থাকায় নারীদের জন্য এ কাজও সহজ হয়ে গেছে। এখন তাদের মাথায় ভারি মেশিন বহন করার দরকার নেই। সাম্প্রতিক সময়ে, তাদের একটি মোবাইল সোলার প্যানেল সহ একটি মোটর দেওয়া হয়েছে। যা নারীরা আরামে মাঠে ঠেলে দেয়। শুধু তাই নয়, জোহর প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের সোলার পাম্পও দেওয়া হয়েছে, যা তাদের জন্য কৃষিকাজ করা সহজ করে তুলছে।
নারীরা জৈব চাষে উৎসাহ দিচ্ছেন
রাজ্যের মহিলা কৃষকরা ঝাড়খণ্ডে জৈব চাষের প্রচারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। জৈব চাষ করতে, তারা নিজের হাতে সার তৈরি করে। এটি অন্যান্য মানুষকেও এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করে তুলছে। এর পাশাপাশি উৎপাদক গ্রুপ গঠন করে কৃষিপণ্য বিক্রিতে সহায়তা করছে। এফপিও গঠনের মাধ্যমে তিনি ভালো দামে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে পারছেন এবং ভালো মুনাফাও পাচ্ছেন। এভাবে নারী কৃষকরা এখন এগিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ মহিলা কৃষকদের এক অসম্পূর্ণ অধিকার,এবং এক সম্পূর্ণ কাহীনি