পদ্মা থেকে জল এনে সেচ কার্যক্রম করা হবে বরেন্দ্র অঞ্চলে। এর মাধ্যমে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে দেওয়া হবে সেচ সুবিধা। কিন্তু এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাবেই ৮ ধরনের ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।
‘ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মা নদীর জল উঁচু বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প প্রস্তাবে উঠে এসেছে এসব বিষয়। এটি সংশোধনের জন্য ফেরত দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫৬৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি নিয়ে গত ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশের এক সংবাদপত্রকে বলেন, প্রকল্পের গোড়াতেই যদি ভুল থাকে, তাহলে বাস্তবায়ন পর্যায়ে তার মাশুল দিতে হয়। এজন্য পরবর্তীকালে মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যয়ও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য পরিকল্পনা কমিশন অনেকটা সতর্ক রয়েছে। তারপরও আরও ভালোভাবে দেখা উচিত।
আরও পড়ুনঃ ডায়মন্ড হারবারের মানুষের জন্য চালু হল এক ডাকে অভিষেক
সুত্রের খবর , প্রস্তাবিত প্রকল্পটির আওতায় পদ্মা নদী থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে ৩৫ মিটার উঁচু বরেন্দ্র এলাকায় জল সরবরাহের জন্য খালে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় মজা খাল পুনর্খননের মাধ্যমে খালের জল ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। সেই সঙ্গে ভূ-উপরিস্থিত জল ব্যবহারের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ জলের লেয়ার বাড়ানো হবে। অনুমোদন পেলে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী ।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ প্রশাসনের আড়ালেই চলছে অবৈধ মৎস্য হত্যা
কার্যবিবরণীতে আরও বলা হয়েছে, জল উত্তোলনের জন্য পদ্মা নদী তীরবর্তী স্থানে ইনটেক পাম্প স্টেশন বসানোর জন্য ৪০০ শতক জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কিন্তু রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ৭০০ শতক জমি অধিগ্রহণের সম্ভাব্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কিন্তু ডিপিপিতে ৪০০ শতক জমির জন্য বরাদ্দ ধরা আছে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা। এছাড়া ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছে। এ ধরনের ব্যয় প্রাক্কলনের ভিত্তি ও যৌক্তিকতা বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয় পিইসি সভায়।