আজ কৃষকদের পরম্পরাগত চাষবাসের সাথে সাথে নতুন প্রযুক্তিগত চাষবাসের প্রতি টান বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে কিছু কৃষক চাষবাসের সাথে সাথে পরিবেশগত সংরক্ষণের চিন্তাধারাও পোষণ করেছে। মধ্যপ্রদেশের এক কৃষক তাঁর নিজস্ব সাত বিঘা জমিতে আম উৎপাদনের সাথে সাথে প্রায় ২৫০ সেগুন গাছের চারা লাগিয়ে সবুজায়নের মাধ্যমে পরিবেশের সংরক্ষণের চেষ্টা করে তাঁর পরিবেশের প্রতি ভালোবাসার পরিচয় দিয়েছেন। এই কৃষক যেমন তাঁর বাগানে উৎপাদিত আম বিক্রি করে বৎসরে লাখ লাখ টাকা রোজগার করছে, তেমনি পরিবেশে সবুজায়নের হার বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছেন।
লক্ষ টাকা আয় করছেন কৃষক
মধ্যপ্রদেশের গুলানা তহশিলভুক্ত বোলাই গ্রামের কৃষক ইসহাক খান মনসুর তাঁর নিজেস্ব সাত বিঘা জমিতে প্রকৃত সবুজায়নের কাজ সুসম্পন্ন করেছেন। এই কৃষক তাঁর বিগত ১০ বৎসরের পরিশ্রমের বলে ১০০ টি আম ও ১৫০ টি সেগুন গাছকে প্রকৃত বৃক্ষে পরিণত করে তাঁর অঞ্চলের সবুজায়নের হার বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছেন। এই দুই প্রকারের গাছ ছাড়াও তিনি তাঁর জমিতে কিছু আমলকী, লেবু ও জায়ফলের গাছও লাগিয়েছেন। এই সবুজ সমারোহের মধ্যেই তিনি বছরের পর বছর উৎপাদন করে চলেছেন গম, ছোলা, মুসুর, আলু, পিঁয়াজ, রসুন, ধনের মতো অতি প্রয়োজনীয় নিত্তনৈমিত্তিক ফসল যা থেকে সে প্রতি বৎসর দুই লক্ষেরও বেশি টাকা উপার্জন করে থাকেন। তাছাড়া আমের মরশুমে তিনি প্রতি বৎসর ১ লাখ টাকা উপার্জন করেন শুধুমাত্র আম বিক্রি করে। মধ্যপ্রদেশের বন্ধ্যা জমিতে এইভাবে ইসহাক ভাই বিভিন্ন রকমের ফসল চাষ করে বাৎসরিক প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি টাকা উপার্জন করে চলেছেন।
বাচ্চাদের মত সযত্নে লালিত করেন প্রতিটি গাছ
পরিবেশপ্রেমি কৃষক ইসহাক খান তাঁর জমিতে প্রোথিত বৃক্ষগুলিকে শিশুর মতো করে লালন পালন করে আসছেন বছরের পর বছর, আর এর জন্যই তাঁর জমিতে সবুজের সমারোহ ঘটেছে। অতিগ্রীষ্মে তিনি ছায়ার সাথে সাথে আমের মতো মিষ্টি ফলেরও স্বাদ গ্রহণ করতে পারছেন। তাঁর নিয়মিত পরিচর্যার ফলস্বরূপ অন্য ফসলের সাথে সাথে আম বিক্রি করে বৎসরে সে অতিরিক্ত লাখ টাকা আয় করতে পারছেন। গরমের মরশুমে তিনি তাঁর বাগানের প্রতিটি গাছে নিয়ম করে দিনে দুবার করে জল প্রদান করেন। তাঁর এই সাধের বাগানের পরিচর্যা করে তিনি বছরের পর বছর লাভের টাকা ঘরে তুলতে পারছেন এতেই তাঁর আনন্দ কারণ এই বাগানের ছায়াঘন শীতল পরিবেশে তিনি যেন প্রাণ ফিরে পান।
- প্রদীপ পাল(pradip@krishijagran.com)