সুরের জগতে ছন্দপতন। আলবিদা কেকে। যে গান দিয়ে ডেবিউ করেন সেই গান দিয়েই শেষ করলেন এই জীবনের শেষ পারফরম্যান্স। কেটে যাওয়া ঘুড়ির মতই লাট খেতে খেতে যেন বলে গেলেন জিন্দেগি দো পলকি। গান দিয়েই শুরু আবার গান দিয়েই শেষ। শিল্পীদের মৃত্যু বোধহয় এমনই হয়। সোমবার এবং মঙ্গলবার দুদিন কলকাতার দুটি কলেজে অনুষ্ঠান করেন কেকে। আর তারপরই রাতে অনুষ্ঠান সেরে জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন কেকে।
তবে গায়কের এই আকস্মিক মৃত্যুতে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। অসুস্থতা, ম্যানেজিং টিমের গাফিলতি নাকি রয়েছে অন্য রহস্য সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। নিউমার্কেট থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। এই মামলা দায়ের এর পক্ষে সম্মতি দিয়েছে কেকে-র পরিবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠছে প্রশ্নের ঝড়। প্রশ্ন উঠছে ম্যানেজিং টিমের গাফিলতির উপর, এসি কাজ করছিলনা, ঘামছিলেন কেকে, সামনে হসপিটাল থাকতে কেন নিয়ে যাওয়া হল দুরের হসপিটালে। হাজারো জল্পনা হাজারো কাদা ছোড়াছুড়ি। সেই জল্পনায় আবার নতুন বিতর্ক শুরু করলেন রাজ্য বিজেপির (BJP) প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। "কেকে-কে (KK) চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা হত্যা। অপরাধবোধ থেকেই গান স্যালুট দিয়েছে সরকার।" বলছেন দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে জাল ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স, নির্দেশিকা জারি স্বাস্থ্য দফতরের
আজ প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রাজ্য প্রশাসনের ওপর আঙ্গুল দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, "একটা লোককে হত্যা করা হল। অমিত শাহ বলেছিলেন, বাংলায় গেলে মারা যেতে পারেন। বাংলায় এসে লোকটা বেঘোরে মারা গেলেন। এটা কলেজের অনুষ্ঠান নয়, তৃণমূল পার্টির অনুষ্ঠান। ওরা লোক জড়ো করেছে। নেতারা আয়োজন করেছেন। ওকে দিয়ে জোর করে একের পর এক গান গাইয়েছে। উনি পারছিলেন না। চলে যেতে চাইছিলেন। তাঁকে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা হত্যা হয়েছে।"
আরও পড়ুনঃ ঠোঁটে মুখে দাগ! চলছিল না AC, অসুস্থতায় মৃত্যু নাকি রয়েছে অন্য কারণ, KK-র মৃত্যু ঘিরে জল্পনা
তিনি আরও বলেন "যে অপরাধবোধ তৈরি হয়েছে, তা ঢাকা দিতে গান স্যালুট দেওয়া হয়েছে। আর ওঁর মৃতদেহ চুরি করার অভ্যেস রয়েছে।" এদিকে ফিরহাদ হাকিম বলছেন কেকের প্রতি জনগণদের ভালোবাসা, উচ্ছাস। সেটাকে কীভাবে আটকানো সম্ভব। এসি ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু ২৫০০ ক্যপাসিটির অডিটোরিয়ামে যদি ৭০০০ মানুষ এসে উপস্থিত হয় তাহলে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হবেই। এদিকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ বলেন “একটা দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক কুৎসা চলছে। দিলিপ ঘোষের মানসিক সমস্যা রয়েছে।“