সারা বছর পাওয়া যায় এমন একটি ফল হল “পেয়ারা”। এটি এমন একটি ফল যা দামেও সস্তা ও অনেকটা সহজলভ্য। পেয়ারার নামে সকলের কাছে পরিচিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর। এই এলাকার আনাচে কানাচে দেখা যায় পেয়ারার গাছ। বারুইপুর পেয়ারার স্বাদ, গন্ধ অতুলনীয়। যার কারনে বারুইপুর সকলের কাছে পরিচিত। তবে চলতি মরশুমে একাধিকি বাজার শুধু বারুইপুরের পেয়ারায় নয় ভিনদেশের পেয়ারাতেও ছেয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়ির বাজারে থাইল্যান্ডের পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে। জলপাইগুড়ির যত্রতত্র ভ্যান গাড়ি বা দুচাকার ঠেলা গাড়িতে করে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় আকৃতির উজ্জ্বল রঙের পেয়ারা। বিক্রি হওয়া এক একটি পেয়ারার ওজন ৪০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। এই পেয়ারা গুলি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এই পেয়ারা গুলির স্বাদ ও গন্ধ অতুলনীয়। জানা যায় এই পেয়ারা গুলি সরাসরি থাইল্যান্ড থেকে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ Red Banana: যেতে হবে না তামিলনাড়ু, এবার বাংলার মাটিতে শুরু লাল কলার চাষ
এই পেয়ারা উজ্জ্বল রঙ ও বড় আকৃতির হওয়ার জন্য কেনার প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেড়েছে। এই নতুন ধরনের পেয়ারার দাম সকল মানুষের নাগালের মধ্যে হওয়ায় বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে। শীতের মরশুমে নতুন ধরনের পেয়ারা বাজারে আশায় ক্রেতারা বেজায় খুশি এবং বেশি বিক্রি হওয়ার জন্য বিক্রেতাদেরও মুখে হাসি ফুটেছে। বলা চলে শীতের মরশুমে বারুইপুরের পেয়ারাকে টক্কর দিয়ে চলছে এই ভিনদেশী পেয়ারা।
পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমলকী ছাড়া অন্য যেকোনো ফলে পাওয়া যায় না। জেনে রাখা ভালো- প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় শূন্য দশমিক ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ওয়ান ও শূন্য দশমিক শূন্য ৯ মিলিগ্রাম বি টু পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৭৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১ দশমিক ৪ গ্রাম প্রোটিন, ১ দশমিক ১ গ্রাম স্নেহ ও ১৫ দশমিক ২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটও পাওয়া যায়।