ঝাড়খণ্ডের কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য সরকার এবং সংস্থাগুলি ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর জন্য রাজ্যে নানা ধরনের স্কিম চালানোর পাশাপাশি অনেক গবেষণাও করা হচ্ছে। রাঁচির বিরসা এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটিতেও বৃহৎ মাপের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে । কৃষকদের আয় বাড়াতে ( ডাবল ফার্মার্স ইনকাম ) এখন রাজ্যের কৃষকদের মসলা চাষে সচেতন করা হবে । কৃষকদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মসলা চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং তাদের চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে। BAU বিশ্বাস করে যে মশলা চাষে রাজ্যের কৃষকরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।
বিরসা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, কৃষকদের উৎসাহিত করতে তাদের বৈজ্ঞানিকভাবে মসলা চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে হলুদ, ধনে, আদার মতো মশলার চাষ আরও ভাল ভাবে করা যেতে পারে। এখানকার জলবায়ু হলুদ, আদা, মেথি ও লঙ্কা চাষের উপযোগী হওয়ায় এখানে রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এর পাশাপাশি এসব মসলার আন্তর্জাতিক বাজারও অনেক বড়। এতে এখানকার কৃষকদের আয় বাড়বে।
বিভিন্ন ধরনের হলুদ নিয়ে গবেষণা চলছে
বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প ইনচার্জ, ডঃ অরুণ কুমার তিওয়ারি বলেছেন যে ঝাড়খণ্ডে মশলা চাষের প্রচারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ধরণের গবেষণা করা হচ্ছে। BAU তে যে গবেষণা চলছে তার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, হালকা হলুদের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ নিয়ে গবেষণা চলছে। যেখানে হলুদের আরও ১১টি জাত রয়েছে যা নিয়ে গবেষণা চলছে। এই হলুদের সকল প্রকার খাবারে রং হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি আলো ও আদা উৎপাদন ও সংরক্ষণে যাতে পোকামাকড় না লাগে সে বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকদের নির্বাচন
তিনি আরও জানান যে ঝাড়খণ্ডে মশলা চাষের প্রচারের জন্য, বিরসা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা উপজাতীয় উপ-পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে। ঝাড়খণ্ডকে মশলা চাষের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয় কারণ এখানকার মাটি অম্লীয়। এর পাশাপাশি এখানে উদ্যান চাষের প্রচার করা হচ্ছে। বাগানের মাঝখানে ছায়ায় হলুদ ও আদাও চাষ করা যায়। ডঃ অরুণ কুমার তিওয়ারি বলেন, এই সমস্ত সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডে মসলা চাষের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষক বাছাই করা হচ্ছে।
Share your comments