কালবৈশাখী ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলা চলতি বৎসরে বোরো ধান চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। চৈত্রে ও বৈশাখে পরের পর কালবৈশাখীর দাপট কার্যত বোরো চাষীদের “পাকা ধানে মই” দিয়েছে, সাথে কোথাও কোথাও চলছে শিলাবৃষ্টি যা পাকা ধানের পক্ষে খুবই খারাপ। বহু পাকা ফসল ঝড়বৃষ্টির দাপটে মাঠেই ঝরে গিয়েছে। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনায় নাবি প্রজাতির বোরো ধানের ফুল খসে গিয়েছে। হুগলী, হাওড়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বাঁকুড়া ইত্যাদি জেলায় বোরো ধানের চাষ খুব বেশী হয়, এবং সবকটি জেলাতেই এই চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলাবৃষ্টি হওয়াতে বহু জায়গায় কীটপতঙ্গের আক্রমণ দেখা দিয়েছে, সেইসব জায়গায় চাষীদের কীটনাশক প্রয়োগ করতে বলা হয়েছে। শুধুমাত্র ধানচাষ-ই নয়, কুমড়ো, বাদাম, তিল, বেগুন, লঙ্কা, পুঁই শাক, নটেশাক ইত্যাদি সবজিও শিলাবৃষ্টির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে চাষিদের নাজেহাল অবস্থা। তারা সরকারের কাছে ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দাবী করেছেন। কৃষকদের মতে, যদি সরকার এই অবস্থায় পাশে না দাঁড়ায় তবে বহু কৃষক দেনার দায়ে পথে বসবে, কৃষি বিজ্ঞানীরাও এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা তা পরিমাপ করবে বলে ঠিক করেছেন ও চাষীদের সাথে তারা একটি মতৈক্যে পৌঁছে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবী করবেন বলে ঠিক করেছেন।
- প্রদীপ পাল