সিবিআইয়ের সদর দফতরে দিতে হবে হাজিরা। এমনই নোটিশ গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের (Arvind Kejriwal) কাছে। আজ সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডেকে পাঠিয়েছে আপ সুপ্রিমোকে। সেই থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। আপাতত উত্তাল রাজধানীর রাজ্য-রাজনীতি।
এই নোটিশ আসার পরই কেন্দ্রের বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্ত্যব্য করেছেন অরবিন্দ কেজরীবালের (Arvind Kejriwal)। তাঁর মতে আপ এখন জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে তাই আপের সকলেই এখন জেলে যাবেন। এছাড়াও তিনি জানান যেহেতু সিবিআই ডেকেছে তাই আমি যাব। সিবিআই শক্তিশালী। এরা যে কোনও কাওকে জেলে পাঠাতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “8 বছরে আমি দিল্লিতে অনেক মহল্লা ক্লিনিক খুলেছি। বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হয়েছে। তিনি বলেন, কেজরিওয়াল দুর্নীতিগ্রস্ত হলে বিশ্বের কোনো মানুষই সৎ নয়। আপনি ভারতের মানুষকে বিরক্ত করতে পারেন কিন্তু ভারতের মানুষকে আটকাতে পারবেন না।“
প্রসঙ্গত, গত মাসে আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয় কেজরীর ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়াকে। সেই সুত্রেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ ডেকে পাঠানো হয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালকে। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ১৬ এপ্রিল কেজরিওয়ালকে তার অফিসে ১১ টায় আবগারি পুলিশ মামলার সাক্ষী হিসাবে তদন্ত দলের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ডেকেছে, সিবিআই দ্বারা জারি করা একটি নোটিশ অনুসারে।
আরও পড়ুনঃ ইতিহাস গড়ল তিলোত্তমা! গঙ্গার নীচে ছুটল মেট্রো
প্রয়াগরাজে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে মাফিয়া আতিক আহমেদ এবং ভাই আশরাফ হত্যার পর দিল্লি পুলিশ সতর্ক বলে মনে হচ্ছে। শনিবার রাতে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিয়ে আতিক ও আশরাফকে গুলি করে হত্যা করে খুনিরা। এর পরে, দিল্লি পুলিশ আজ সকাল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন, সিভিল লাইনের কাছে উপস্থিত মিডিয়া এবং লোকজনের আইডি কার্ড পরীক্ষা করছে। আইডি কার্ড ছাড়া সাংবাদিকদের সিভিল লাইনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ সিভিল লাইনসে রাস্তার একপাশ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় দলের তকমা গেল তৃণমুলের,একই দশা এনসিপি-র, দৌড়ে এগিয়ে কেজরীর ‘আপ’