পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা
Updated on: 15 January, 2019 5:13 PM IST

কৃষিজাগরণ ও মহিন্দ্রার উদ্যোগে একটি  "কৃষিবৈঠক" হয়ে গেল জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকে।এই ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১০০ এর বেশি চাষিরা এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। মৎস চাষী থেকে শুরু করে চা চাষীরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানটির বিশেষ অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করে সুস্থায়ী কৃষি সম্পর্কে একে একে চাষীদের সামনে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন জলপাইগুড়ি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কো অর্ডিনেটর ডক্টর বিপ্লব দাস,শ্রী অশোক কুমার মোহান্তি(ডেপুটি ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার(জল বিভাগ)। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কৃষিজাগরন পত্রিকার স্টেট-হেড শ্রী তন্ময় কর্মকার, রিজিওনাল ম্যানেজার শ্রী অমরজ্যোতি রায়।সভায় বিশেষ ভাবে সহযোগিতার মাধ্যমে সভাটিকে সাফল্য মন্ডিত করে তুলেছেন কৃষিজাগরন সহযোগী দিশা ফার্মারস প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন এর শ্রী জ্যোতিরাম রায়,বাগজান প্রগতিশীল ফার্মারস ক্লাবের শ্রী দিনাবন্ধু রায়,কৃষিজাগরন সহযোগি ননী গোপাল রায় ও শ্রী রণজিৎ রায়। এছাড়া ময়নাগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন প্রান্তের চাষীরা।

সভায় উপস্থিত চাষী ভাইদের উদ্দেশ্যে জলপাইগুড়ি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কো অর্ডিনেটর ডক্টর বিপ্লব দাস আধুনিক কৃষি নিয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন তিনি চাষীদের ধান,ভুট্টা,পাট, গম ইত্যাদি চাষের পাশাপাশি  বলেন যে পশুপালন, সুপারি বাগান, লেবু বাগান, মাছ চাষ করতে হবে তবেই একজন চাষীর রোজগার দ্বিগুন হওয়া সম্ভব।আধুনিক কৃষিতে কৃষিজ যন্ত্রপাতির গুরুত্ব নিয়ে তিনি বিস্তারিত ভাবে চাষীদের বোঝান।"জৈবিক কৃষি"উৎসাহিত করে তিনি চাষীদেরকে  বাড়িতে ভার্মি কম্পোস্ট করতে বলেন,মাটি পরীক্ষা করে চাষ আবাদ করার গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।এছাড়া জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে যেসব প্রশিক্ষণ নিয়ে চাষীরা লাভবান হতে পারে সেসব নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।

আরও পড়ুন খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাবে শীতকালীন ফসল কম বপন হওয়াতে

উল্লেখ্য যে এই সভায় একটি মৎসচাষ নিয়ে একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যেটি দিতে কৃষিজাগরন কে সহযোগিতা করেন জলপাইগুড়ি কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ শ্রী ইন্দ্রনীল ঘোষ।তিনি গোটা পুকুরের পরিচর্যা এবং এই শীত কালীন সময়ে মাছের রোগ ব্যাধি ও তার কি প্রতিকার এইসব নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রঙ্গিন মাছ চাষ নিয়ে আলোচনা করেন। এই ব্লকের দুজন মৎস চাষী শ্রী দিলীপ মণ্ডল ও শ্রী মলিন সেন তাদের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা চাষীদের কাছে তুলে ধরেন।

এই সভায় জলপাইগুড়ি জেলার ডেপুটি ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার (ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট) শ্রী অশোক কুমার মোহান্তি উপস্থিত থেকে চাষীদের মুখ থেকে সরাসরি তাদের অভাব অভিযোগ শোনেন, তিনি   তা আন্তরিক ভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করবেন বলে চাষীদের কথা দেন।সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প বিশেষ করে সেচ সম্পর্কিত প্রকল্পের বিষয়ে চাষীদের তিনি অবহিত করেন।কৃষিজাগরন এর পক্ষ থেকে চাষীদের বিনা মূল্যে একমাসের পত্রিকা বিতরণ করা হয়। মহিন্দ্রার পক্ষ থেকে মিস্টার কৌশিক বাবু তাদের মাল বহন যোগ্য বিভিন্ন ছোট গাড়ি, ছোট ট্রাক, নিয়ে তাদেরকে বর্তমানে কি কি সুযোগ মাহিন্দ্রা দিতে পারে চাষীদের বোঝানো হয়। অবশেষে চাষীদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠান টির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

- অমরজ্যোতি রায় (amarjyoti@krishijagran.com)

English Summary: Krishi boithok moynaguri
Published on: 15 January 2019, 02:28 IST