মহারাষ্ট্রের ছিন্দওয়ারার একটি ছোট গ্রামে বাসিন্দা পরশরাম যাদব। কৃষি খাতে তাঁর সাফল্যের কাহিনি অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর সংগ্রাম ও সাহসের জোরে আজ তিনি একজন প্রগতিশীল কৃষক।
কৃষিকাজ ছিল তার প্রধান পেশা। অন্যদের মতই তিনিও তাঁর পুরানো এইচএমটি ট্রাক্টর দিয়ে কৃষিকাজ করতেন। কিন্তু কৃষি ব্যবসায় সন্তুষ্টি পাচ্ছিলেন না। কৃষি কাজে বাড়তে থাকে অসুবিধা। হতাশায় ভরে ওঠে পরশরামের মন। তিনি সিদ্ধান্ত নেন ট্রাক্টর বিক্রি করার।
একদিন পরশরাম তাঁর এলাকার ডিলারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার সমস্যা শেয়ার করেন।সেখানকার ডিলার তাকে মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর কেনার পরামর্শ দেন। পরশরামের কাছে সেই সময় নতুন ট্রাক্টর কেনার টাকা ছিল না। তার অবস্থা বুঝে ডিলার তাকে ১৫ দিন সময় দেন। আর এই ট্রাক্টরের পারফরম্যান্স পরীক্ষা করার জন্য কয়েক দিনের জন্য মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর ভাড়া নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
ভাড়ায় ট্রাক্টর নিয়ে পরশরাম ব্যবহার করা শুরু করেন। মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাঁকে মুগ্ধ করে। তিনি লক্ষ্য করেন চুল্লির গুণমান এবং শক্তি কৃষিকাজে যোগ করছে নতুন মাত্রা। ১৫ দিন পর টাকা জোগাড় করে পরশরাম এই ট্রাক্টর ক্রয় করেন।
তারপর থেকে শুরু পরশরামের জয়যাত্রা। বর্তমানে তাঁর কাছে ১৮-২০ টি মাহিন্দ্রার ট্রাক্টর রয়েছে। মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের জন্য কৃষি ব্যবসায় নতুন আকাঙ্ক্ষা পান পরশরাম। ৯০ একর জমিতে চাষ করছেন তিনি। তার কঠোর পরিশ্রম এবং মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের সহযোগিতায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বিলাসবহুল বাড়িও তৈরি করেছেন তিনি।
মাহিন্দ্রা ডিলার ছোট-বড় প্রতিটি সমস্যায় পরশরামকে সাহায্য করতেন। তবে প্রযুক্তিগত সহায়তাও সাহায্য করেছে । পরশরাম ২২ বছর ধরে এই ট্রাক্টর ব্যবহার করছেন এবং তার ব্যবসা সাফল্যের উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এখন তার ছেলে ও নাতিরাও সক্রিয়ভাবে এই ব্যবসায় জড়িত এবং পারিবারিক উত্তরাধিকার চালিয়ে যাচ্ছেন। এই ছিল মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের সঙ্গে একজন প্রগতিশীল কৃষকের যাত্রার কাহিনি। একটি অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প যা আমাদের বলে যে সঠিক সম্পদ এবং কঠোর পরিশ্রমের সাথে, যেকোনো স্বপ্ন সত্যি হতে পারে।
পরশরাম যাদবের তিন প্রজন্ম মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর থেকে উপকৃত হচ্ছে। তিন প্রজন্ম উন্নতির সাক্ষী হয়ে আসছেন। মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর তাদের কৃষিকাজকে সহজ এবং কার্যকর করেছে আর তাদের জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি এনেছে।
মাহিন্দ্রা ট্রাক্টর আজ পরশরাম এবং তাঁর পরিবারকে দিয়েছে সুখ এবং সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ জীবনযাপন। এই সাফল্যের গল্প আমাদের সেটাই শেখায় সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।