বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলার কৃষকরা আর্থিকভাবে খুব শক্তিশালী হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। এর প্রধান কারণ হল কিষাণগঞ্জের অনেক কৃষক এখন ভুট্টা চাষে নিজেদেরকে ব্রতী করেছে। এখন ভুট্টা চাষে এতটাই লাভ হচ্ছে যে এখানকার কৃষকেরা তাদের আর্থিক সুদৃঢ় ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে।এখানকার কৃষকরা মূলত পটল ও আদার চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতো, কিন্তু এখন এইসব ফসল চাষে খুব বেশি লাভ তারা দেখতে পাচ্ছে না তাই এই সব ফসলের উপর তাদের মোহভঙ্গ হয়েছে। এইসব কৃষকদের মতে ভুট্টার উৎপাদন অন্য সব ফসলের তুলনায় অনেক ভালো হয়।
ভুট্টার চাষ এই রাজ্যে অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষিবিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এবার রবি শস্যের মধ্যে সবথেকে বেশি ভুট্টার চাষ অনেক বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বার শুধু কিষাণগঞ্জে ৯০৪৭ হেক্টর স্থানে ভুট্টা চাষ হচ্ছে। যেখানে এই চাষের বিভাগীয় লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিলো মাত্র ৩০০০ হেক্টর। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে মূল লক্ষ্যমাত্রার বাইরে ৩ গুণ বেশি জমিতে ভুট্টা চাষ হচ্ছে এটা দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে এখানকার কৃষকেরা অন্যান্য ফসলের মধ্যে ভুট্টাকেই লাভজনক চাষ হিসেবে বেছে নিয়েছে।
আরও পড়ুন নতুন তিন প্রকার উচ্চফলনশীল ধান যা কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করবে
কিছু বৎসর আগেও কিষাণগঞ্জের কৃষকরা আদা ও পাট চাষ করতো, এখন দেখা যাচ্ছে জেলার একটি অংশ পোঠিয়াতেই একমাত্র পাট চাষ সবথেকে বেশি হচ্ছে। যদি আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকে তাহলে এই বৎসর আনুমানিক ৭৬হাজার ৮০০ মেট্রিকটন ভুট্টা উৎপাদিত হবে বলে আসা করা যাচ্ছে। কিষাণগঞ্জ জেলার সবথেকে বেশি ভুট্টা উৎপাদিত হচ্ছে ঠাকুরগঞ্জ, পোঠিয়া, ও দিঘলবেক অঞ্চলে।
এখানকার কৃষকের কাছে ভুট্টা চাষ হলো একপ্রকার বরদান। মাঝারি কৃষকরা ভুট্টাকে তাদের নগদ অর্থ রোজগারের একমাত্র মাধ্যম করে নিয়েছে। এই একটাই কারণে জেলার সমস্ত কৃষকেরা ভুট্টা চাষে ব্রতী হয়েছেন, অনেকে তার জমির সমস্তটাই ভুট্টা চাষের জন্য বরাদ্ধ করেছে। এখানে কৃষকদের কথা অনুসারে প্রতি হেক্টর ৮৫-৯০ক্যুইন্টাল পর্যন্ত ভুট্টা উৎপাদন হয়ে থাকে, যা কৃষকদের কাছে খুব লাভজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
- প্রদীপ পাল (pradip@krishijagran.com)