কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ শীঘ্রই আসতে চলেছে হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসব মকর সংক্রান্তি। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত। এটি পোঙ্গল, উত্তরায়ণ, খিচড়ি ইত্যাদি নামে পরিচিত। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ঐতিহ্য নিয়ে পালিত হয় এই উৎসব। এই উত্সব প্রতি বছর ১৪ জানুয়ারি পালিত হয়। কিন্তু এ বছর তা উদযাপনের তারিখ নিয়ে জনগণ বিভ্রান্তিতে রয়েছে। কেউ ১৪জানুয়ারী উদযাপনের কথা বলছেন আবার কেউ ১৫ জানুয়ারী এটি উদযাপনের কথা বলছেন। এমন পরিস্থিতিতে আসুন জেনে নেওয়া যাক এটি উদযাপনের সঠিক তারিখ, সময় এবং গুরুত্ব।
এবার মকর সংক্রান্তি পালিত হবে ১৫ জানুয়ারি
এ বছর মকর সংক্রান্তি উৎসব পালিত হবে ১৫ জানুয়ারি। এই দিনে সূর্য মকর রাশিতে প্রবেশ করবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরশোত্তম রুপালার উপস্থিতিতে 'মিলেটস নিয়ে বিশেষ সংস্করণ' উন্মোচন
হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, ১৪ জানুয়ারি, শনিবার, সূর্য দেবতা মকর রাশিতে প্রবেশ করবেন রাত ৮.১৪ মিনিটে। এমন পরিস্থিতিতে রাত্রিকালীন স্নান, দাতব্য কাজ নিষিদ্ধ, তাই ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি পালন করা ঠিক নয়। অন্যদিকে, ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির শুভ সময় থাকবে, যাতে সূর্যোদয় থেকে পুরো দিন পর্যন্ত দান ইত্যাদি করা যেতে পারে।এই দিনে সূর্য, শনি ও শুক্র মকর রাশিতে থাকবে, যার কারণে ত্রিগ্রহী যোগ তৈরি হবে। এই কারণেই মকর সংক্রান্তি উদযাপনের পরের দিন অর্থাৎ ১৫ জানুয়ারি উদিয়া তিথির কারণে শুভ বলে মনে করা হয়।
মকর সংক্রান্তি ২০২৩ এর শুভ সময়
মকর সংক্রান্তি পুণ্যকাল সকাল ০৭.১৫ টা থেকে ০৫.৪৫ টা পর্যন্ত কার্যকর হবে। মহা পুণ্যকাল সকাল ০৭.১৫ টা থেকে ৯.০০ টা পর্যন্ত হবে। এই সময়ে স্নান, দানকর্ম অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। সেই সঙ্গে এই দিন দুপুর ১২.০৯টা থেকে ১২.৫২টা পর্যন্ত থাকবে অভিজিৎ মুহুর্তা এবং দুপুর ২.১৬টা থেকে দুপুর ২.৫৮টা পর্যন্ত বিজয় মুহুর্ত থাকবে। রবিবার পড়ার কারণে এবার মকর সংক্রান্তির উৎসব আরও বিশেষ হতে চলেছে। কারণ রবিবার সূর্য দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করনো হল পরিচালক অনিক দত্তকে
মকর সংক্রান্তি ২০২৩ এর তাৎপর্য
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, মকর সংক্রান্তির দিন গঙ্গায় স্নান করে দান করলে পুণ্যলাভ হয়। এর পাশাপাশি এই দিনে সূর্য দেবতার কৃপাও পাওয়া যায়। এই শুভ দিনে খাদ্যশস্য, তিল, গুড়, বস্ত্র, কম্বল দান করলে শনি ও সূর্যদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।
দাবিত্যাগ: এই নিবন্ধে দেওয়া তথ্য, সাধারণ তথ্য, বিশ্বাস এবং অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে ।