কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের নাইসেডের মতে এ বছরে শহরে বেড়েছে সোয়াইন ফ্লু পজিটিভের হার। তাদের মতে আগে সাধারণত সংগ্রিহিত নমুনার ৮-১০ শতাংশ পজিটিভ কেস পাওয়া যেত। কিন্তু এ বার দেখা যাচ্ছে, নমুনার শতকরা ২০-২২ শতাংশ সোয়াইন ফ্লু পজিটিভ। বিশেষজ্ঞরা যদিও বলছেন, শুধু সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নয়, রোগীর উপসর্গের সঠিক বিশ্লেষণও এই বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
সাধারণ ভাবে শীতের আগে এবং পরে দাপট দেখানো ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-ওয়ান-এর এই ভাইরাসের প্রভাব অপরিবর্তিত থেকেছে চলতি শীতে। নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে মার্চেও সমান ভাবে সোয়াইন ফ্লু’তে আক্রান্ত হয়েছেন মানুষ। এ বার ফেব্রুয়ারির মধ্যে অন্তত ৭ জন সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চলতি বছরে দাপট দেখাচ্ছে সোয়াইন ফ্লু’র এইচ৩এন২ ভেরিয়েন্ট। সত্যিই কি এ বছর বেড়েছে সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্তের সংখ্যা?
তা হলে সাধারণ সচেতন হওয়া উচিত এবং অযথা আতঙ্ক ছড়ানো উচিত নয়। জ্বরের উপসর্গ খেয়াল করা, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ও নিজের এলাকা সম্পর্কে খোঁজ রাখা সচেতনতার অংশ।
সোয়াইন ফ্লু এর উপসর্গ
- ধূম জ্বর। গায়ে হাত-পায়ে ব্যথা। ওষুধেও জ্বর না-কমা। অথবা, বারবার ফিরে আসা
- প্রবল শ্বাসকষ্ট। নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় বুকে চাপ ভাব অনুভব করা
- কাশি। সঙ্গে কখনও কখনও রক্ত বেরিয়ে আসা
- বমি, পাতলা পায়খানা
কী করবেন, কী করবেন না
- সোয়াইন ফ্লু’র সঙ্গে শুয়োরের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই অযথা আশপাশে শুয়োরের খোঁয়াড় থাকা নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না
- সব ফ্লু-ই সোয়াইন ফ্লু নয়। তাই জ্বর, সর্দিকাশি হলেই অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না
- হাত ধুয়ে খাবার খান। সম্ভব হলে হাত পরিষ্কারের জন্য অ্যালকোহল থাকা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন
- এলাকায় কারও সোয়াইন ফ্লু হয়েছে শুনলে সচেতন হোন
- সম্ভব হলে এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করুন।
- কেউ হাঁচলে বা কাশলে এবং মুখোশ না-থাকলে রুমাল দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিন।
- রুনা নাথ (runa@krishijagran.com)