কৃষিজাগরন ডেস্কঃ আমরা প্রত্যেকেই জানি যখন কোনো দ্রব্যের চাহিদা বেড়ে যায় কিন্তু জোগান সেভাবে থাকে না, ঠিক তখনই ওই দ্রব্যের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে ওঠে। তেমনই শীত পড়তে না পড়তেই বৃদ্ধি পেল পোলট্রি ডিমের দাম। কিছুদিন আগে বাজারে এক জোড়া ডিমের দাম ১০ থেকে ১১ টাকা ছিল। কিন্তু সেই ডিমই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ টাকা জোড়া।
ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য বাজার কমিটির টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান- শীতের সময় মানুষ বেশি বেশি ডিম খান। এছাড়াও শীতের সময় কেক বানাতে ডিমের প্রয়োজন হয়। এই সিজেনে যে পরিমান ডিম বাজার জাত হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। তিনি আরও জানান দক্ষিণ ভারত থেকে প্রতি দিন দেড় কোটি ডিম আমদানিও করা হচ্ছে এই মরশুমে। তবে বাইরে থেকে ডিম যাতে আমদানি করতে না হয় সে বিষয়ে ভেবে দেখবেন বলেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ চাষীদের স্বনির্ভর করতে রাজ্য সরকারের অভিনব উদ্যোগ
তবে ডিমের দাম বাড়লেও সবজীর দাম ক্রমেই নিম্নমুখী। বাজারজাত ফুলকপি, পেঁপে, বাঁধাকপি, গাজরের মতো সবজির মুল্য অনেকটাই সস্তা। আলুর দামও প্রতি কেজিতে ৬ থেকে ৭ টাকা। টমেটোর দাম প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা। কড়াইশুঁটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজিতে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। কুমড়ো প্রতিকেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। লঙ্কা ১২ টাকা ১০০ গ্রাম। শীতে প্রত্যেকের প্রিয় পালং শাক-আঁটি পিছু ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা।
আরও পড়ুনঃ বাংলার প্রাণের উৎসব নবান্ন
সবজীর দাম কম হলেও মাছের দাম বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখে নেবো আজকের বাজারে মাছের দাম। পোনা মাছপ্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা। কাতলা মাছ ৪০০ টাকা কেজি থেকে শুরু। রুই মাছ গোটা প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। পাবদা ৪৫০ টাকা কেজি থেকে শুরু। বাগদা চিংড়ী ৪৫০ টাকা কেজি থেকে শুরু। ভোলা মাছ ২৫০ টাকা প্রতি কেজি। লোটে মাছ প্রতি কেজি ১০০ টাকা। চিকেনের বাজার দর ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। গোটা মুরগী প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা। এবং মটন প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৪০ টাকা।