দেশে নভেল করোনা বা কোভিড-১৯ -এর প্রাদুর্ভাব ক্রমবর্ধমান হওয়ায় ২১ দিনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে অনেকেই পড়েছেন চিন্তায়, কারণ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই এখনও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করেন। তাই করোনাভাইরাসের আতঙ্কের সাথে তাঁদের মনে এক অন্যতম ভয় খাদ্যসঙ্কটের। বুধবার মন্ত্রীসভার বৈঠকে জনগণের রেশন নিয়ে মোদি সরকার তাঁর বক্তব্য রাখেন। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত ৮০ কোটি ভারতীয়দের জন্য বৃহত্তম রেশন ভর্তুকি প্রকল্প।
করোনাভাইরাস দেশে তার প্রভাব বিস্তার করায় প্রতিটি রাজ্যই সমস্যায় পড়েছে। এতে প্রধানত সমস্যায় পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ। বিগত কয়েকদিন ধরেই এই ভাইরাসের প্রভাবে মুরগীর মূল্য হ্রাস পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন পোলট্রি ফার্মের মালিকরা, দুর্বল হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি। এখন আবার নতুন করে খাদ্যসঙ্কটে পড়েছেন এই শ্রেণীর মানুষেরা।
সমস্যাটি বিবেচনা করে কেন্দ্রের মোদী সরকার ৮০ কোটি মানুষকে কম দামে খাদ্যশস্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকর বলেছেন, "দেশের ৮০ কোটি মানুষকে কম দামে রেশন সরবরাহ করা হবে এবং এর সাথে প্রতি মাসে তাদের জন প্রতি ৭ কেজি রেশন তাও তিন মাসের জন্য অগ্রিম সরবরাহ করা হবে।" বেশিরভাগ সরবরাহকারীকে কার্ফিউ পাস এবং গুদাম খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রীসভার বৈঠকে সামাজিক দূরত্ব অনুশীলন করার এবং বাড়িতে থাকার কথা বলা হয়। জানানো হয়, নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে, এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এটিই সেরা কৌশল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকার বলেন যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের মানুষের খাদ্যের অভাব হবে না। এটি আমাদের দেশের মানুষের স্বার্থে নেওয়া একটি খুব বড় সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে, ৮০ কোটি মানুষ ২৭ টাকায় (প্রতি কেজি) বিক্রি হওয়া গম কেজি প্রতি ২ টাকায় এবং ৩৭ টাকার (প্রতি কেজি) চাল প্রতি কেজি ৩ টাকায় পাবেন।
এ ছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলির সমস্ত দোকান খোলা থাকবে, যেমন দুধ, পশুর খাদ্য, রেশন ইত্যাদি। তবে মানুষকে সতর্ক হতে হবে যে, জিনিসগুলি বহন করার সময় হুড়োহুড়ি করবেন না। কমপক্ষে ৬ মিটার দূরত্ব বজায় রাখুন। এর সাহায্যে আপনি নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সক্ষম হবেন।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)