কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ আশা করছে চা, কফি ও চালের মতো কৃষি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কৃষি বাণিজ্যে দেশের আর্থিক শেয়ার বাড়িয়ে দেবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত কৃষি-রপ্তানি নীতি মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে। প্রস্তাবিত নীতি কৃষি রপ্তানির সকল দিকগুলিতে মনোনিবেশ করবে; আধুনিক পরিকাঠামো, পণ্যগুলির মানানসইকরণ, অবিবেচিত সিদ্ধান্তের সংখ্যা হ্রাস এবং গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলিতে মনোনিবেশ করা।
সরকার কৃষি পণ্যগুলির জন্য স্থিতিশীল রপ্তানি নীতির লক্ষ্য রাখবে। কর্মকর্তারা জানান, “সর্বনিম্ন আমদানি মূল্য, রপ্তানি শুল্ক, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা এবং কোটা সীমাবদ্ধতা আরোপের মতো কোনও রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রক্রিয়াজাত কৃষি সামগ্রী ও জৈব পণ্যগুলির ওপর লাঘু হবে না”। আরও বলেন যে নীতি বাস্তবায়নের জন্য আনুমানিক 1400 কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে পারে।
রাজ্যগুলিকে তাদের APMC (Agriculture Produce Market Committee) আইন সংস্কার এবং রপ্তানি-ভিত্তিক বাজারি পণ্যগুলিতে কর অপসারণের জন্য আহ্বান জানানো হবে। পরিকাঠামোর কথা ভেবে সরকার সেইসব বন্দরগুলিকে শনাক্ত করবে যেগুলি দিয়ে সহজে কৃষি রপ্তানি হতে পারে এবং কৃষি-জেটি, রেলওয়ে wagons সেখানে প্রদান করা হবে। মুম্বাই, দিল্লি এবং কোচি বিমানবন্দরে রপ্তানি ও আমদানির জন্য Round-the-clock single window ক্লিয়ারেন্স বাড়ানো হবে।
নীতির অংশ হিসাবে, সরকার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা জন্য পাঁচটি প্যারামিটারের উপর ভিত্তি করছে। যেগুলি হল; বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য, পাঁচ বছরের সম্ভাব্য প্রভাব, ভারতের বর্তমান বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতা বাকি দেশগুলির সাথে, মূল্য সংযোজনের সুযোগ এবং ভবিষ্যতের বাজার সম্ভাবনা। মূল্যযোগ পণ্য উন্নীত করার জন্য সরকার R&D এর প্রচার, বিস্কুট এবং মিষ্টান্নের বাজারকরণ, শুকনো পেঁয়াজ, ঠান্ডা সবজি, ঔষধি উদ্ভিদ এবং অপরিহার্য তেলের বিপণন সহ কয়েকটি পদক্ষেপ নেবে।
নীতিটি ২0২২ সালের মধ্যে 60 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি কৃষি শুল্কের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার চেষ্টায় আছে। দেশের মোট পণ্যদ্রব্য রপ্তানির 10 শতাংশের বেশি হল কৃষিপণ্য। ভারতের প্রধান রপ্তানি দ্রব্যগুলি চা, কফি, চাল, কর্নফ্লেক্স, তামাক, মশলা, কাজু, তেলের খাবার, ফল এবং সবজি, সামুদ্রিক পণ্য, মাংস, দুধ ও পোলট্রি প্রোডাক্ট। 2017 সালে ভারতের রপ্তানি প্রায় 31 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল যা বিশ্ব কৃষি বাণিজ্যের 2 শতাংশেরও বেশি।
ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন (FIEO) – এর সভাপতি গণেশ কুমার গুপ্ত বলেন, “কৃষি রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য একটি স্থায়ী নীতি দরকার”।
- অভিষেক চক্রবর্তী(abhishek@krishijagran.com)