কর্ণাটকের পুট্টুরে সম্প্রতি কাজু গবেষণা অধিদপ্তর ‘তফসিলি বর্ণ উপ-পরিকল্পনা কর্মসূচিতে তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক ‘বার্ষিক কাজু দিবস’ উদযাপন করেছে। এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্রীমতি সিন্ধু রূপেশ (আই.এ.এস, জেলা প্রশাসক, দক্ষিণ কন্নড়), অনুষ্ঠান উদযাপনের সময় বলেন যে, ডি কে জেলা কাজুর জন্যে বিখ্যাত এবং আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে কৃষকরা এই ক্ষেত্র থেকে ভাল আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পগুলির মাধ্যমে তফশিলি জাতি সম্প্রদায়ের মানুষেরা জীবিকা নির্বাহে উপকৃত হবেন’।
পুট্টুর বিভাগের সহকারী কমিশনার ডাঃ সতীশ উল্লাল এবং ডাঃ এম.জি. নায়েক (আইসিএআর-ডিসিআর পরিচালক), এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং সমগ্র দেশের কৃষকদের উপকারের জন্যে তাঁরা তাঁদের বক্তব্যে কাজুর প্রযুক্তিগত বিকাশ ও প্রচারে অধিদপ্তরের অবদানের কথা ব্যক্ত করেন।
বেশ কয়েকটি কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশজুড়ে কাজু চাষে নতুন করে আগ্রহ দেখা গেছে। ভারতে এবং বিদেশে কাজুর চাহিদা ক্রমবর্ধমান। আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় কাজুর গুণমান সুপরিচিত। এই ফসলটি শুষ্ক জমিতে অর্থাৎ যেখানে সেচের সুবিধা কম, সেখানে চাষের জন্য উপযুক্ত। নতুন প্রজাতির সংকর বাদাম এবং উচ্চ ঘনত্বের রোপণের কৌশল এই ফসল চাষে নতুন মাত্রা সূচনা করেছে। ভারতে বাজারে এর চাহিদা এবং প্রক্রিয়াকরণের সুবিধা কৃষকদের মধ্যে নতুন আশ্বাস তৈরী করছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজুর গবেষণা ও বিকাশ আগামীদিনে কাজু খাতের আরও উন্নতির জন্য কার্যক্রমের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
এই অনুষ্ঠানে কাজু ফসল ব্যবস্থাপনা, আন্তঃ ফসল ও কাজু আপেল প্রসেসিং সম্পর্কিত তিনটি প্রকাশনা প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে নার্সারি মালিক, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, উন্নয়ন বিভাগ, এনজিও এবং বিজ্ঞানীদের প্রতিনিধি সহ মোট ১১০ জন কৃষক অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)